ঢেঁড়স চাষ করে স্বাবলম্বী

ঢেঁড়স চাষ করে সাবলম্বী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মোশাররফ হোসেন মুশা। মুশা এ উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের গোয়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। ৫ বিঘা জমিতে ঢেঁড়সের চাষ করে মানুষ তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই ঢেঁড়স চাষি। তার ফলন ও আয় দেখে আরও অনেকেই ঢেঁড়স চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সাগরখালী নদীতে জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ফসলের চাষ করছেন কৃষকরা। কিন্তু মোশাররফ হোসেন মুশা কেবলই ঢেঁড়স চাষে মনোযোগী হয়েছেন। আর এতে অন্যদের চেয়েও সফল হয়েছেন তিনি।

আলাপকালে মুশা জানান, এ বছর নদীতে পানি কম থাকার কারণে জেগে ওঠা চর ঢেঁড়স চাষের জন্য বেছে নেন। সেখানে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ঢেঁড়সের চাষ করেন। চরের মাটি বেশ উর্বর থাকায় এখানে তার উৎপাদন খরচও বেশ কম হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে বারি উদ্ভাবিত ‘বারি ঢেঁড়স-১’ জাতের ঢেঁড়সের চাষ করেছি। এতে বিঘাপ্রতি গড়ে আমি ১৫০-২০০ মন ঢেড়স পেয়েছি। বাজারে ঢেঁড়সের দাম ভালো থাকায় বেশ লাভবানও হয়েছি। আর এ বছর ঢেঁড়সের পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমনও ছিল না বলা যায়। ফলে খরচও কম হয়েছে।’

গোয়াবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক জিয়াউল হক জানান, মুশা সারাবছরই সকলের চেয়ে আলাদা আলাদা চাষ করে থাকে। এ বছর সে নদীর চরে ঢেঁড়স চাষ করেছে। আমরা মনে করতাম নদীর চরে ঢেঁড়স ভালো হয় না। কিন্তু সে চাষ করে আমাদের পথ দেখিয়েছে।

এ ব্যপারে মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ঢেঁড়সে পোকা-মাকড়ের আক্রমন কম হয়েছে। আর ঢেঁড়সের বিভিন্ন জাতের মধ্যে ‘বারি ঢেঁড়স-১’ এর ফলন ভালো। এটা চাষ করা লাভজনক।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর