হাওর বার্তা ডেস্কঃ সপ্তাহের ব্যবধানে হাওরের প্রতিমণ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কম দরে ধান কিনছেন বেপারীরা। ধানের ব্যাপক দরপতনের জন্য আবহাওয়াকে পুঁজি করছেন ব্যবসায়ীরা। হাওরের কৃষকরা বলেন, একে তো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার ধানের ফলন কম তার ওপর এমন দরপতনে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষক পর্যায়ে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিং দাবি করেছেন কৃষকরা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে ধানের দরপতনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাওরের হাটে দুমণ ধান নিয়ে আসার পর আক্কাছ আলী, ৫০০ টাকা মণ দরে বেপারির কাছ থেকে ১ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি। বাজারের লম্বা তালিকার সাথে ধান বিক্রির টাকা হিসাব মিলাতে আক্কাছ আলী কপালের ভাঁজ রেখা বড় হয়ে ওঠে। একই অবস্থা ধান বিক্রি করতে আসা অন্য কৃষকদের।
সপ্তাহের ব্যবধানে হাওরের হাটগুলোতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মণপ্রতি কম দরে চলছে ধান কেনাবেচা। কৃষক পর্যায়ে ধানের সরকারি দরের চেয়ে অর্ধেক দামে চলছে এসব হাটে কেনা-বেচা। এমন দরপতনে কৃষকদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ধানের হঠাৎ দরপতনের জন্য আবহাওয়াকে পুঁজি করলেও কৃষকরা বলেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ন্যায্য মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।
তারা বলেন, ধান বিক্রি করে আমাদের লেবার খরচ ও উৎপাদন খরচ উঠবে না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
হাওরের চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার কারণেই ধানের দাম অনেক কমে গেছে।
হাওরের স্পেশাল ইকোনোকি জোনের পরিচালক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে ক্ষতি সাধিত হয় তা সমাধান করার জন্য নানা উপায় এখন চলে এসেছে।
কৃষক পর্যায়ে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা না হলে উৎপাদনে উৎসাহ হারাবে কৃষক তাই বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি করেছেন মহাদেবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান।
এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সে লক্ষে বাজার তদারকি করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কৃষক পর্যায়ে হাজার ৪০ টাকা মন দরে ধান কেনার সরকারি ঘোষণা দেয়া হলেও জেলা খাদ্য বিভাগ জানায় পরিপত্র না পাওয়ায় শুরু করতে পারছেন না এ কার্যক্রম।