শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেছেন, ছাত্রলীগকে এর অতীতের গৌরব ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হতে হবে এবং কোনোক্রমেই এই এতিহাসিক ছাত্র সংগঠনের বদনাম হতে দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীদের লেখাপড়া করতে হবে, শিক্ষিত এবং যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই দেশের সব গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন ছাত্রলীগের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। সংগঠনের মধ্যে দু’চারজন শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী যদি থেকে থাকে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে “জাতীয় শিক্ষা অধিকার দিবস-২০১৫” উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমু এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের প্রবীণ এই সদস্য বলেন, অছাত্র এবং বুড়োরা যেন ছাত্রলীগের নেতা হতে না পারেন, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই নিয়মিত ছাত্রদের হাতে সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৬২’র ১৭ সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন, ‘হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন’ রিপোর্ট বাতিলের দাবিতে হরতাল পলনরত অবস্থায় সেদিন পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজের মিছিলে পুলিশের গুলিতে বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফাসহ অনেকে শহীদ হন। এই আন্দোলনই পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে গণঅভ্যুত্থানের দিকে ধাবিত হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।