ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাদের হাতে যাবে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
  • ৩০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ছাত্রলীগ। আগামী ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে ঘিরে বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্যে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আসন্ন কমিটির পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের ছাপও দেখা যাচ্ছে। তবে এবারের সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় কোন পদ্ধতিতে নেতা বাছাই হবে; সিলেকশন না ইলেকশন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

তবে সম্মেলন সামনে রেখে সংগঠনটির শীর্ষ পদে কারা আসবেন, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বিস্তর। ছাত্রলীগের পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, ভাবমূর্তি যাদের ভালো তারাই এগিয়ে আছেন।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এ বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আওয়ামী পরিবার ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখে নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা।

আলোচনায় যারা:

শেষ মুহূর্তের আলোচনায় যারা শীর্ষ পদের জন্য এগিয়ে তাদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চল থেকে আছেন বর্তমান কমিটির ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, আইন সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয় ও সহ-সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম সোহাগ।

ফরিদপুর অঞ্চল থেকে রয়েছেন শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, কর্মসূচী ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসাইন, কবি জসীম উদ্দিন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান ও স্যার এএফ রহমান হলের সভাপতি হাফিজুর রহমান।

চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে এগিয়ে আছেন প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, উপ-স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন ও মুহসীন হলের সভাপতি সরকার রায়হান জহির।

উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন উপ আইন সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম, নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক উপ সম্পাদক কামরুজ্জামান বিশ্বাস জিপু ও মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মাহেদী হাসান সানী।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সও আলোচনায় আছেন।

২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  তখন সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।  ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর।  ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল।

মেয়াদপূর্তির ছয় মাসেও সম্মেলন না করায় গত ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগকে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশ আসে। সম্মেলন করতে হবে মে মাসের মধ্যেই। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ যেন না পার হয়, সেটিও জানিয়ে দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কাদের হাতে যাবে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব

আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ছাত্রলীগ। আগামী ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে ঘিরে বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্যে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আসন্ন কমিটির পদপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের ছাপও দেখা যাচ্ছে। তবে এবারের সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় কোন পদ্ধতিতে নেতা বাছাই হবে; সিলেকশন না ইলেকশন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

তবে সম্মেলন সামনে রেখে সংগঠনটির শীর্ষ পদে কারা আসবেন, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে বিস্তর। ছাত্রলীগের পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকেই। ছাত্রলীগের একাধিক নেতা জানান, ভাবমূর্তি যাদের ভালো তারাই এগিয়ে আছেন।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এ বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আওয়ামী পরিবার ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখে নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা।

আলোচনায় যারা:

শেষ মুহূর্তের আলোচনায় যারা শীর্ষ পদের জন্য এগিয়ে তাদের মধ্যে বরিশাল অঞ্চল থেকে আছেন বর্তমান কমিটির ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, কৃষি শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, আইন সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয় ও সহ-সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম সোহাগ।

ফরিদপুর অঞ্চল থেকে রয়েছেন শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, কর্মসূচী ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসাইন, কবি জসীম উদ্দিন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান ও স্যার এএফ রহমান হলের সভাপতি হাফিজুর রহমান।

চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে এগিয়ে আছেন প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, উপ-স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন ও মুহসীন হলের সভাপতি সরকার রায়হান জহির।

উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন উপ আইন সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম, নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক উপ সম্পাদক কামরুজ্জামান বিশ্বাস জিপু ও মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মাহেদী হাসান সানী।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সও আলোচনায় আছেন।

২০১৫ সালের ২৬ ও ২৭ জুলাই ছাত্রলীগের ২৮তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  তখন সাইফুর রহমানকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।  ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ দুই বছর।  ২০১৭ সালের জুলাইয়ে এই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার কথা ছিল।

মেয়াদপূর্তির ছয় মাসেও সম্মেলন না করায় গত ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগকে সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গত ৩১ মার্চ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কড়া নির্দেশ আসে। সম্মেলন করতে হবে মে মাসের মধ্যেই। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ যেন না পার হয়, সেটিও জানিয়ে দেন তিনি।