ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্মার্টফোনে চার্জ ধরে রাখবেন যেভাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮
  • ২৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া চলেই না। কথা বলা, ছবি পাঠানো, ইন্টারনেট ব্যবহার, এমনকি আপনি কয় পা হাঁটলেন, তারও হিসাব দিতে পারে স্মার্টফোন। নিত্যসঙ্গী এই মোবাইল ফোনের ব্যাটারি নিয়ে মাঝেমধ্যেই হয় নানা ঝুটঝামেলা।

অনেক সময় বেশিক্ষণ চার্জ থাকে না। নতুন কেনা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি যতক্ষণ চলে, দুই বছরের পুরোনো ফোনের ব্যাটারি স্বাভাবিকভাবেই সেই সেবা দেয় না। এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারি কিনে নিতেই পারেন। তবে না কিনে যদি পুরোনো ব্যাটারি থেকেই বাড়তি সুবিধা পেতে চান, তবে চোখ বুলিয়ে নিন এই সাত পরামর্শে—

১. স্মার্টফোনের ব্যাটারি সেভার মোড চালু করে নিতে পারেন। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডচালিত বেশির ভাগ স্মার্টফোনে এই অপশন থাকে। কিছু ফোনে ব্যাটারির চার্জ ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই মোড চালু হয়ে যায়। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখলে স্মার্টফোনের কেবল সাধারণ সুবিধাগুলোই পাওয়া যায়; কিন্তু ফোন চালু থাকে দীর্ঘ সময়।

২. অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহার না করা সত্ত্বেও স্মার্টফোনে চালু থাকে ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক। খেয়াল করে বন্ধ রাখবেন এগুলো। ব্যবহার না করেও ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু রাখলে তা নতুন সংযোগ খোঁজার কাজটি চালাতে থাকে। এতে ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হয়।

৩. অনেক ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা (ব্রাইটনেস) বাড়িয়ে দেন। এতে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয় দ্রুত। যদি সারা দিন একটু বেশি সময় স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে চান, তবে কমিয়ে রাখুন ব্রাইটনেস। এতে একটু বেশি সময় কাজে লাগাতে পারবেন ফোনটি।

৪. এখনকার স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন প্রি-ইনস্টল করা থাকে। এই অ্যাপটি কিছুদিন পরপর হালনাগাদও হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকের এই অ্যাপে ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়। তাই অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে।

৫. গুগল ম্যাপ বা আরও কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান জানার প্রয়োজন হয়। এ জন্য চালু রাখতে হয় লোকেশন ট্র্যাকিং। এতে বেশি চার্জ প্রয়োজন হয়। তাই যেসব অ্যাপ্লিকেশনে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের প্রয়োজন নেই, সেসব ক্ষেত্রে এই সুবিধা বন্ধ রাখা যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সেটিংসে গিয়ে লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করা যায়।

৬. স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ও অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপারের জুড়ি নেই। কিন্তু এসব চালাতে ব্যাটারির চার্জও বেশি পোড়ে। যদি এগুলো বন্ধ রাখতে পারেন, তবে নির্দ্বিধায় একটু বেশি সময় মোবাইল চালু রাখতে পারবেন।

৭. একটি স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালু থাকে। এর মধ্যে একটি হলো বিভিন্ন অ্যাপের স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ (অটো আপডেট) হওয়ার ব্যবস্থা। এটি বন্ধ রাখলে ব্যাটারির চার্জ খরচ কম হবে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের সেটিংসের জেনারেল অপশনে ঢুকে অটো আপডেট বন্ধ করা যাবে। আর হালনাগাদ করার প্রয়োজন হলে ম্যানুয়াল আপডেট করার সুযোগ তো থাকছেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মার্টফোনে চার্জ ধরে রাখবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ০৩:১০:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া চলেই না। কথা বলা, ছবি পাঠানো, ইন্টারনেট ব্যবহার, এমনকি আপনি কয় পা হাঁটলেন, তারও হিসাব দিতে পারে স্মার্টফোন। নিত্যসঙ্গী এই মোবাইল ফোনের ব্যাটারি নিয়ে মাঝেমধ্যেই হয় নানা ঝুটঝামেলা।

অনেক সময় বেশিক্ষণ চার্জ থাকে না। নতুন কেনা মোবাইল ফোনের ব্যাটারি যতক্ষণ চলে, দুই বছরের পুরোনো ফোনের ব্যাটারি স্বাভাবিকভাবেই সেই সেবা দেয় না। এ ক্ষেত্রে নতুন ব্যাটারি কিনে নিতেই পারেন। তবে না কিনে যদি পুরোনো ব্যাটারি থেকেই বাড়তি সুবিধা পেতে চান, তবে চোখ বুলিয়ে নিন এই সাত পরামর্শে—

১. স্মার্টফোনের ব্যাটারি সেভার মোড চালু করে নিতে পারেন। আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েডচালিত বেশির ভাগ স্মার্টফোনে এই অপশন থাকে। কিছু ফোনে ব্যাটারির চার্জ ২০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই মোড চালু হয়ে যায়। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখলে স্মার্টফোনের কেবল সাধারণ সুবিধাগুলোই পাওয়া যায়; কিন্তু ফোন চালু থাকে দীর্ঘ সময়।

২. অনেক সময় দেখা যায়, ব্যবহার না করা সত্ত্বেও স্মার্টফোনে চালু থাকে ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক। খেয়াল করে বন্ধ রাখবেন এগুলো। ব্যবহার না করেও ব্লুটুথ ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক চালু রাখলে তা নতুন সংযোগ খোঁজার কাজটি চালাতে থাকে। এতে ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হয়।

৩. অনেক ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা (ব্রাইটনেস) বাড়িয়ে দেন। এতে ব্যাটারির চার্জ শেষ হয় দ্রুত। যদি সারা দিন একটু বেশি সময় স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে চান, তবে কমিয়ে রাখুন ব্রাইটনেস। এতে একটু বেশি সময় কাজে লাগাতে পারবেন ফোনটি।

৪. এখনকার স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশন প্রি-ইনস্টল করা থাকে। এই অ্যাপটি কিছুদিন পরপর হালনাগাদও হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফেসবুকের এই অ্যাপে ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়। তাই অ্যাপের বদলে ব্রাউজার দিয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা ভালো। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে ব্যাটারির চার্জ অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ধরে থাকে।

৫. গুগল ম্যাপ বা আরও কিছু অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীর সঠিক অবস্থান জানার প্রয়োজন হয়। এ জন্য চালু রাখতে হয় লোকেশন ট্র্যাকিং। এতে বেশি চার্জ প্রয়োজন হয়। তাই যেসব অ্যাপ্লিকেশনে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের প্রয়োজন নেই, সেসব ক্ষেত্রে এই সুবিধা বন্ধ রাখা যেতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সেটিংসে গিয়ে লোকেশন ট্র্যাকিং বন্ধ করা যায়।

৬. স্মার্টফোনকে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ও অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপারের জুড়ি নেই। কিন্তু এসব চালাতে ব্যাটারির চার্জও বেশি পোড়ে। যদি এগুলো বন্ধ রাখতে পারেন, তবে নির্দ্বিধায় একটু বেশি সময় মোবাইল চালু রাখতে পারবেন।

৭. একটি স্মার্টফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে আরও অনেক অ্যাপ্লিকেশন চালু থাকে। এর মধ্যে একটি হলো বিভিন্ন অ্যাপের স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ (অটো আপডেট) হওয়ার ব্যবস্থা। এটি বন্ধ রাখলে ব্যাটারির চার্জ খরচ কম হবে। অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের সেটিংসের জেনারেল অপশনে ঢুকে অটো আপডেট বন্ধ করা যাবে। আর হালনাগাদ করার প্রয়োজন হলে ম্যানুয়াল আপডেট করার সুযোগ তো থাকছেই।