ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২ বছর বয়সী জিমন্যাস্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩৪০ বার

২ বছর বয়সী ইরানি শিশু আরাত হুসেইনি। ইতিমধ্যেই তার নামের সঙ্গে লেগেছে জিমন্যাস্টের তকমা। তবে তা একেবারেই বাড়াবাড়ি নয়। অন্যতম কঠিন এ খেলার দুরূহ সব চর্চা সে করতে পারে অবলীলায়। গালফ নিউজ ও ডেইলি মেইলের সচিত্র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরাতের প্রতিভার গল্প। আরাত ও তার পিতা-মাতা থাকেন ইরানের মাজাবদারান প্রদেশের বাবোল শহরে। আরাতের বাবা মোহাম্মদ ও তার মা ফাতেমা বলেন, মাত্র ৯ মাস বয়সে আরাতের মধ্যে শারীরিক কসরতের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। তখন থেকে শুরু। এখন সে হাতের ওপর ভর দিয়ে দু’পা প্রসারিত করে শূন্যে ভেসে থাকতে পারে অবলীলায়। আবার, দু’হাত পেছনে দিয়ে মাটিতে ঠেকিয়ে এরপর হাতের ওপর ভর করে আবার দু’পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এতো সাবলীলভাবে আরাত এগুলো করে থাকে যে দেখে অনেক সহজ মনে হয়। আরাতের পিতা-মাতার বক্তব্য অনুযায়ী, তার কোন পেশাদার প্রশিক্ষণ নেই। প্রতিদিন সে ১০ থেকে ২০ মিনিট চর্চা করে। মোহাম্মদ বলেন, একদিন তিনি কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পর আরাত তার হাতের আঙুল ধরে ধীরে ধীরে পা দুটো মাটি থেকে উপরের দিকে তুলে ধরে। তখনই প্রথম মোহাম্মদ লক্ষ্য করেন তার এতটুকু ছেলের শরীরের শক্তি। এতে বিস্মিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এটা তার জন্মগত প্রতিভা। আর তাই ছেলের নিত্যদিনের শারীরিক অনুশীলনে সঙ্গ দেন তিনি। ইন্সটাগ্রাম পেজে আরাতের নানা শারীরিক কসরত চর্চার ভিডিও আপলোড করা আছে। ইতিমধ্যে আরাতের ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ১৮হাজারের বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

২ বছর বয়সী জিমন্যাস্ট

আপডেট টাইম : ০১:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

২ বছর বয়সী ইরানি শিশু আরাত হুসেইনি। ইতিমধ্যেই তার নামের সঙ্গে লেগেছে জিমন্যাস্টের তকমা। তবে তা একেবারেই বাড়াবাড়ি নয়। অন্যতম কঠিন এ খেলার দুরূহ সব চর্চা সে করতে পারে অবলীলায়। গালফ নিউজ ও ডেইলি মেইলের সচিত্র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরাতের প্রতিভার গল্প। আরাত ও তার পিতা-মাতা থাকেন ইরানের মাজাবদারান প্রদেশের বাবোল শহরে। আরাতের বাবা মোহাম্মদ ও তার মা ফাতেমা বলেন, মাত্র ৯ মাস বয়সে আরাতের মধ্যে শারীরিক কসরতের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। তখন থেকে শুরু। এখন সে হাতের ওপর ভর দিয়ে দু’পা প্রসারিত করে শূন্যে ভেসে থাকতে পারে অবলীলায়। আবার, দু’হাত পেছনে দিয়ে মাটিতে ঠেকিয়ে এরপর হাতের ওপর ভর করে আবার দু’পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। এতো সাবলীলভাবে আরাত এগুলো করে থাকে যে দেখে অনেক সহজ মনে হয়। আরাতের পিতা-মাতার বক্তব্য অনুযায়ী, তার কোন পেশাদার প্রশিক্ষণ নেই। প্রতিদিন সে ১০ থেকে ২০ মিনিট চর্চা করে। মোহাম্মদ বলেন, একদিন তিনি কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পর আরাত তার হাতের আঙুল ধরে ধীরে ধীরে পা দুটো মাটি থেকে উপরের দিকে তুলে ধরে। তখনই প্রথম মোহাম্মদ লক্ষ্য করেন তার এতটুকু ছেলের শরীরের শক্তি। এতে বিস্মিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন এটা তার জন্মগত প্রতিভা। আর তাই ছেলের নিত্যদিনের শারীরিক অনুশীলনে সঙ্গ দেন তিনি। ইন্সটাগ্রাম পেজে আরাতের নানা শারীরিক কসরত চর্চার ভিডিও আপলোড করা আছে। ইতিমধ্যে আরাতের ইন্সটাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা ১৮হাজারের বেশি।