ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বলীখেলা শেষে লালদীঘির ঘিরে মেলায় বিকিকিনির ধুম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
  • ৪১৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জব্বারের বলীখেলার ১০৯তম আসর। রেওয়াজ অনুযায়ী খেলার পর দিন বৈশাখী মেলারও শেষদিন। তাই আজ বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর থেকে লালদীঘিকে ঘিরে এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৈশাখী মেলায় ধুম পড়েছে বিকিকিনির।

সরেজমিন দেখা গেছে, সাতসকালেই গৃহস্থ বাড়ির ‘বউ-ঝি’রা মেলায় আসতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে জমে যায় মেলা। এ সময় পছন্দের ফুলঝাড়ু, হাতপাখা, দা-বঁটি, পিঠা তৈরির ছাঁচ, শীতলপাটি, কুলা, মাটির তৈরি ব্যাংক, জিনিসপত্র, ব্যাগ, কৃত্রিম ফুলের স্টিক, গহনা, ফুল ও ফলদ গাছের চারাসহ গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী বিক্রি হয় বেশি। অভিজ্ঞ ক্রেতাদের দেখা গেছে, দরকষাকষি করে দফারফা করছেন।

বাকলিয়া থেকে সপরিবারে কেনাকাটা করতে এসেছেন ফয়জুন নাহার নামের ষাটোর্ধ্ব এক নারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বয়স হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই বৈশাখী মেলায় এসেছি। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনোই আসতে দেননি বাড়ির মুরুব্বিরা। সবসময় মধ্যরাতে বা সাতসকালেই এসেছি। তখন মেলা অনেকটা ফাঁকা থাকে, বখাটেদের ভিড় বা উৎপাত থাকে না।

তিনি বলেন, মেলার শেষদিন হওয়ায় দাম কিছুটা কম মনে হলো। বিক্রেতারা প্রথমে বেশি দাম হাঁকেন, মান বুঝে দরকষাকষি করতে জানলে কম দামে ভালো জিনিসটি কেনা যাচ্ছে। আমি ৩ জোড়া ফুলের ঝাড়ু কিনেছি আড়াইশ’ টাকায়।

বলীখেলার এ মেলায় কী নেই সেটি খুঁজে বের করা কঠিন। সুই থেকে ফুলশয্যার খাট সবই মিলছে হাত বাড়ালেই। মৃৎশিল্প, কারুশিল্প, কুটিরশিল্প থেকে শুরু করে বড় বড় প্লাস্টিক কারখানাসহ অনেক বৃহৎ শিল্পকারখানার পণ্যও দেদারছে বিক্রি হচ্ছে মেলায়। কুমোরের তৈরি টেপা পুতুল, শিশুদের আদি টমটম, প্লাস্টিকের তৈরি ঠেলাগাড়ি, বাঁশি, বেলুন, পোড়ামাটির তৈরি বিশাল বিশাল হাতি-ঘোড়া, ফুলদানি, তৈজসপত্র, শোপিস, ওয়ালম্যাট, মোড়া, বেতের সোফা, কাঠের আসবাবপত্র, দুর্লভ ওষুধিগাছের চারা, মৌসুমি ফলমূল, মুড়ি-মুড়কি, গজা, তিলের খাজা, শাড়ি, লুঙ্গি, মাছ ধরার পলো, টেঁটা, খুন্তি, কোদাল, কাস্তে সবই বিক্রি হচ্ছে মেলায়। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছেন বিক্রেতারা। ভারী বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর ঝামেলা না থাকায় খুশি তারা।

খুশি আগ্রাবাদের এক্সেস রোড এলাকা থেকে আসা নজরুল ইসলামও। তিনি বলেন, মেয়ের জামাই নতুন বাসা নিয়েছে। ভাবলাম জব্বারের বলীখেলা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

বলীখেলা শেষে লালদীঘির ঘিরে মেলায় বিকিকিনির ধুম

আপডেট টাইম : ১২:২২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো জব্বারের বলীখেলার ১০৯তম আসর। রেওয়াজ অনুযায়ী খেলার পর দিন বৈশাখী মেলারও শেষদিন। তাই আজ বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) ভোর থেকে লালদীঘিকে ঘিরে এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বৈশাখী মেলায় ধুম পড়েছে বিকিকিনির।

সরেজমিন দেখা গেছে, সাতসকালেই গৃহস্থ বাড়ির ‘বউ-ঝি’রা মেলায় আসতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে জমে যায় মেলা। এ সময় পছন্দের ফুলঝাড়ু, হাতপাখা, দা-বঁটি, পিঠা তৈরির ছাঁচ, শীতলপাটি, কুলা, মাটির তৈরি ব্যাংক, জিনিসপত্র, ব্যাগ, কৃত্রিম ফুলের স্টিক, গহনা, ফুল ও ফলদ গাছের চারাসহ গৃহস্থালি পণ্যসামগ্রী বিক্রি হয় বেশি। অভিজ্ঞ ক্রেতাদের দেখা গেছে, দরকষাকষি করে দফারফা করছেন।

বাকলিয়া থেকে সপরিবারে কেনাকাটা করতে এসেছেন ফয়জুন নাহার নামের ষাটোর্ধ্ব এক নারী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বয়স হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই বৈশাখী মেলায় এসেছি। তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কখনোই আসতে দেননি বাড়ির মুরুব্বিরা। সবসময় মধ্যরাতে বা সাতসকালেই এসেছি। তখন মেলা অনেকটা ফাঁকা থাকে, বখাটেদের ভিড় বা উৎপাত থাকে না।

তিনি বলেন, মেলার শেষদিন হওয়ায় দাম কিছুটা কম মনে হলো। বিক্রেতারা প্রথমে বেশি দাম হাঁকেন, মান বুঝে দরকষাকষি করতে জানলে কম দামে ভালো জিনিসটি কেনা যাচ্ছে। আমি ৩ জোড়া ফুলের ঝাড়ু কিনেছি আড়াইশ’ টাকায়।

বলীখেলার এ মেলায় কী নেই সেটি খুঁজে বের করা কঠিন। সুই থেকে ফুলশয্যার খাট সবই মিলছে হাত বাড়ালেই। মৃৎশিল্প, কারুশিল্প, কুটিরশিল্প থেকে শুরু করে বড় বড় প্লাস্টিক কারখানাসহ অনেক বৃহৎ শিল্পকারখানার পণ্যও দেদারছে বিক্রি হচ্ছে মেলায়। কুমোরের তৈরি টেপা পুতুল, শিশুদের আদি টমটম, প্লাস্টিকের তৈরি ঠেলাগাড়ি, বাঁশি, বেলুন, পোড়ামাটির তৈরি বিশাল বিশাল হাতি-ঘোড়া, ফুলদানি, তৈজসপত্র, শোপিস, ওয়ালম্যাট, মোড়া, বেতের সোফা, কাঠের আসবাবপত্র, দুর্লভ ওষুধিগাছের চারা, মৌসুমি ফলমূল, মুড়ি-মুড়কি, গজা, তিলের খাজা, শাড়ি, লুঙ্গি, মাছ ধরার পলো, টেঁটা, খুন্তি, কোদাল, কাস্তে সবই বিক্রি হচ্ছে মেলায়। সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছেন বিক্রেতারা। ভারী বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর ঝামেলা না থাকায় খুশি তারা।

খুশি আগ্রাবাদের এক্সেস রোড এলাকা থেকে আসা নজরুল ইসলামও। তিনি বলেন, মেয়ের জামাই নতুন বাসা নিয়েছে। ভাবলাম জব্বারের বলীখেলা।