হাওর বার্তা ডেস্কঃ ৫০ হাজার মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)- এর জট লেগেছে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না অনেক আবেদনকারী। অতি জরুরি ফি জমা দিয়েও মেডিকেল বা জরুরি কাজে বিদেশ যেতে আগ্রহীরা নির্ধারিত সময়ে এমআরপি না পেয়ে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। অনেক সরকারি কর্মকর্তাও এ ভোগান্তির তালিকায় আছেন। আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে তারা দিনের পর দিন ঘুরছেন। পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য সাধারণ আবেদনকারীদের এ ভোগান্তি কবে কমবে তা কেউ বলতে পারছেন না। সূত্রমতে, এমআরপি বুকলেট সংকটের কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই তড়িঘড়ি করে পাসপোর্ট চাইলেও প্রিন্ট করে দেয়া যাচ্ছে না।
পাসপোর্ট দেরির বিষয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে বলা হচ্ছে, গত বুধবার থেকে পাসপোর্টের সংকট মেটাতে কাজ শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়ার টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা এ বিষয়ে কাজ করছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ সংকট মেটার সম্ভাবনা রয়েছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, পাসপোর্ট বইয়ের তেমন সংকট নেই। তবে গত মঙ্গল ও বুধবার এমআরপি প্রিন্ট করার মেশিনগুলো বন্ধ করে চালু করার পর বিপত্তি দেখা দেয়। দুইটি মেশিন ভালোভাবে চালু হলেও একটি মেশিনে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। এ কারণে সমস্যার তৈরি হয়েছে। একাধিক পাসপোর্ট আবেদনকারীর সঙ্গে গতকাল আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে কথা বলে জানা গেছে, ডেলিভারির তারিখের পর এক সপ্তাহ পার হয়েছে। এখনও তারা পাসপোর্ট বুঝে পাননি। নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্টের এসএমএস না পেয়ে অফিসে খোঁজ নিতে ছুটে এসেছেন তারা।
তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে কোনো সদুত্তর পাচ্ছেন না। সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পাসপোর্ট আবেদনকারীদের কর্মকর্তাদের কাছে দেন দরবার করতে দেখা যায়। সব কর্মকর্তাদেরই ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে বলা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসগুলোর এমআরপি প্রিন্ট করতে প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। খুলনা ও যশোরসহ কয়েকটি বিভাগীয় অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাসপোর্টের আবেদন জমা নেয়ার সময় তারা সফটওয়্যার উল্লিখিত তারিখ বলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি মৌখিকভাবে পাসপোর্ট পেতে দেরি হতে পারে এ বিষয়টিও জানিয়ে দিচ্ছেন। তবে যাদের খুব জরুরি দরকার তাদের আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়।
তেমনই একজন ইমরান হোসেন। মাগুরা থেকে ঢাকায় পাসপোর্টের তদবির করতে আসা ইমরান হোসেন মানবজমিনকে বলেন, আমার মা হালিমা খাতুন গত ৩রা জানুয়ারি এমআরপি চেয়ে আবেদন করেছেন। মাগুরা অফিসে খোঁজ নেয়ার পর তারা ঢাকা সদর দপ্তরে যোগাযোগ করতে বলেছেন। এজন্য খোঁজ নিতে এসেছি। কর্মকর্তাদের বুঝাতে চাচ্ছি আমার মায়ের ভালো চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। আশা করছি এ বিষয়টি সুরাহা হবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আশা সহসাই এ সংকটের সমাধান হবে। তারা বলছেন, বুকলেট সংকট নেই। তবে প্রিন্টিং সংকট সহসাই কেটে যাবে।