ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষককের মুখে হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৮
  • ৪৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আমন ফসলের বাম্পার ফলনের পর আবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। এক ফসলির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হলেও আমনের পর লবন সহনশীল এ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় ৪ হাজার ৮ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে বেরো ধানের চাষ হয়েছে। চলতি বেরো মৌসুমে কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে ১৬ ইউনিয়নে বিনা-১০ জাতের বেরো ধানের ৩০ টি প্রদর্শনী হয়েছে। এ প্রর্দশনীর আওতায় কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদনের জন্য ৩০ জন চাষীকে ১০ কেজি করে ধান বীজ ও সার প্রয়োগের জন্য ১ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান,গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় চাষীদের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও এ ধান ফলনের আশানুরূপ সাফল্যের কারনে ব্যাক্তি উদ্যোগেও শত শত চাষী চলতি বছরে বেরো ধানের আবাদ করেছে। সরেজমিনে সদর ইউনিয়নের বেরো ধান চাষী জলিল আকন জানান, তিনি এ প্রকল্পের আওতায় এক একর জমিতে ধানের চাষ করেছেন।

এবারের বিঘা প্রতি কমপক্ষে ৪০ মন ধান উৎপাদিত হবে বলে তিনি আশাবাদি। স্থানীয় কৃষি দপ্তরের যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ পাবার কারনে তারা সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। চাষী সোহরাব হোসেন  জানান, ছলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সদর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন  বলেন, আমন ফসলের পর রোরো ফসল চাষে কৃষকরা খুবই উৎসাহিত হচ্ছে। এবারের বাম্পার ফলন হলে আগামী বোরো ধানের আবাদ দ্বিগুন হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য হল, সমগ্র জীবনকালে লবন সহনশীলতার মাত্রা ১০-১৪ ডিএ/মিটার। যা এ লবনাক্ত অঞ্চলের জন্য যথাপোযুক্ত। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৫ -৮.৫ টন। যার কারনে চাষীদের বেরো ধান চাষে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের ৭ শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বাগেরহাটে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কৃষককের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ১২:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আমন ফসলের বাম্পার ফলনের পর আবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। এক ফসলির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হলেও আমনের পর লবন সহনশীল এ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় ৪ হাজার ৮ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে বেরো ধানের চাষ হয়েছে। চলতি বেরো মৌসুমে কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে ১৬ ইউনিয়নে বিনা-১০ জাতের বেরো ধানের ৩০ টি প্রদর্শনী হয়েছে। এ প্রর্দশনীর আওতায় কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের বীজ উৎপাদনের জন্য ৩০ জন চাষীকে ১০ কেজি করে ধান বীজ ও সার প্রয়োগের জন্য ১ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

চাষী পর্যায়ে উন্নতমানের ধান,গম ও পাটবীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় চাষীদের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও এ ধান ফলনের আশানুরূপ সাফল্যের কারনে ব্যাক্তি উদ্যোগেও শত শত চাষী চলতি বছরে বেরো ধানের আবাদ করেছে। সরেজমিনে সদর ইউনিয়নের বেরো ধান চাষী জলিল আকন জানান, তিনি এ প্রকল্পের আওতায় এক একর জমিতে ধানের চাষ করেছেন।

এবারের বিঘা প্রতি কমপক্ষে ৪০ মন ধান উৎপাদিত হবে বলে তিনি আশাবাদি। স্থানীয় কৃষি দপ্তরের যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ পাবার কারনে তারা সফলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। চাষী সোহরাব হোসেন  জানান, ছলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সদর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন  বলেন, আমন ফসলের পর রোরো ফসল চাষে কৃষকরা খুবই উৎসাহিত হচ্ছে। এবারের বাম্পার ফলন হলে আগামী বোরো ধানের আবাদ দ্বিগুন হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, বোরো ধানের বৈশিষ্ট্য হল, সমগ্র জীবনকালে লবন সহনশীলতার মাত্রা ১০-১৪ ডিএ/মিটার। যা এ লবনাক্ত অঞ্চলের জন্য যথাপোযুক্ত। হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৫ -৮.৫ টন। যার কারনে চাষীদের বেরো ধান চাষে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরের ৭ শ’ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে।