ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাচী ও চাচাতো বোনকে বিয়ে করলো পাকিস্তানে যুবক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮
  • ১০৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ে মানে আমরা বুঝি দুইজন মানুষের একসাথে সারাজীবন থাকার শপথকে। বিয়ে মানে চারটি হাতের মিলন। কিন্তু পাকিস্তানে ঘটলো এমন একটি ঘটনা যেখানে বিয়েতে চারটি নয় হয়েছে ছয়টি হাতের মিলন। পাকিস্তানে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা যেখানে ইউসুফ খান নামের একটি ব্যক্তি একত্রে বিয়ে করেছেন তার চাচী এবং তার মেয়েকে।

বছর কয়েক আগে বিধবা হন তার চাচী। এরপর থেকে তার নিজের মেয়েকে নিয়ে একলাই থাকতেন তিনি। স্বামীর মারা যাবার পর হঠাৎ তার প্রাক্তন শ্বশুর বাড়ি থেকে এই মহিলার কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসে। এই প্রস্তাবটি আসে ইউসুফের কাছ থেকে। ইউসুফ ওই মহিলার ভাসুরের ছেলে।

বিয়ের এই প্রস্তাবে সম্মত হন তিনি। কিন্তু বিয়ের আগে সকলেরই বোধদয় হয় যে এই মহিলার মেয়েটিও বিবাহযোগ্য। একারণে নির্ধারিত হয় যে তার মেয়ের সাথেও বিয়ে হবে ইউসুফের। এরপর যেই কথা সেই কাজ, একই দিনে একই অনুষ্ঠানে মা ও মেয়েকে বিয়ে করেন ইউসুফ। তার চাচাতো বোন অবশ্য তার থেকে বয়সে ছোট।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর মতে, বিষয়টি নিয়ে পাত্র পাত্রীর পরিবারে অস্বস্তি নেই। বরং ইউসুফের বাবা ছেলের এই পদক্ষেপে বেশ খুশি।

সামাজিকভাবেও ইউসুফকে বেশ সম্মান দেখানো হচ্ছে। কেননা পুরুষতান্ত্রিক পাকিস্তানি সমাজে একজন নারীকে বিয়ে করা মানে তাকে উদ্ধার করা। একজন নারী একারণে পুরুষের উপর নির্ভরশীল হবেন বিষয়টি বেশ স্বাভাবিকভাবেই দেখা হয় পাকিস্তানে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চাচী ও চাচাতো বোনকে বিয়ে করলো পাকিস্তানে যুবক

আপডেট টাইম : ০৪:৩৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিয়ে মানে আমরা বুঝি দুইজন মানুষের একসাথে সারাজীবন থাকার শপথকে। বিয়ে মানে চারটি হাতের মিলন। কিন্তু পাকিস্তানে ঘটলো এমন একটি ঘটনা যেখানে বিয়েতে চারটি নয় হয়েছে ছয়টি হাতের মিলন। পাকিস্তানে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা যেখানে ইউসুফ খান নামের একটি ব্যক্তি একত্রে বিয়ে করেছেন তার চাচী এবং তার মেয়েকে।

বছর কয়েক আগে বিধবা হন তার চাচী। এরপর থেকে তার নিজের মেয়েকে নিয়ে একলাই থাকতেন তিনি। স্বামীর মারা যাবার পর হঠাৎ তার প্রাক্তন শ্বশুর বাড়ি থেকে এই মহিলার কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসে। এই প্রস্তাবটি আসে ইউসুফের কাছ থেকে। ইউসুফ ওই মহিলার ভাসুরের ছেলে।

বিয়ের এই প্রস্তাবে সম্মত হন তিনি। কিন্তু বিয়ের আগে সকলেরই বোধদয় হয় যে এই মহিলার মেয়েটিও বিবাহযোগ্য। একারণে নির্ধারিত হয় যে তার মেয়ের সাথেও বিয়ে হবে ইউসুফের। এরপর যেই কথা সেই কাজ, একই দিনে একই অনুষ্ঠানে মা ও মেয়েকে বিয়ে করেন ইউসুফ। তার চাচাতো বোন অবশ্য তার থেকে বয়সে ছোট।

পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর মতে, বিষয়টি নিয়ে পাত্র পাত্রীর পরিবারে অস্বস্তি নেই। বরং ইউসুফের বাবা ছেলের এই পদক্ষেপে বেশ খুশি।

সামাজিকভাবেও ইউসুফকে বেশ সম্মান দেখানো হচ্ছে। কেননা পুরুষতান্ত্রিক পাকিস্তানি সমাজে একজন নারীকে বিয়ে করা মানে তাকে উদ্ধার করা। একজন নারী একারণে পুরুষের উপর নির্ভরশীল হবেন বিষয়টি বেশ স্বাভাবিকভাবেই দেখা হয় পাকিস্তানে।