ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি মেয়েদের বেশি পছন্দ করি, আমার নামে এ অপবাদ আছে : রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮
  • ৪৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ইউআইটিএস এর তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর হাতে পুরষ্কার ও সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। এসময় জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, সমাজে চলমান মূল্যবোধ অবক্ষয়রোধে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

এছাড়া উচ্চ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসম্পন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

পরে দুপুরে এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি গ্র্যাজুয়েট প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবনে দেশ ও জনগণের সেবা সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সনদ বিতরণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি জামিলুর রেজা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বললাম। তিনি জানালেন, এখানে ৪০ শতাংশ মেয়ে এবং ৬০ শতাংশ ছেলে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এখানে গোল্ড মেডেল দিলাম আটটা। এরমধ্যে সাতটাই মেয়েরা পেল। একটা মাত্র ছেলে, এটা না পেলেও ভালো হতো। যে পেয়েছে সে যে সম্মান রক্ষা করতে পারছে এজন্য তাকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, মেয়েরা ভেবো না আমি তোমাদের বিদ্বেষী। আসলে আমি মেয়েদের বেশি পছন্দ করি। অনেকেই এমনটা মনে করেন। আমার বিরুদ্ধে এমন অপবাদ আছে। আমি অস্বীকার করি না। তবে সমতা রক্ষা করা দরকার।

দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মানসিকতা ছাড়া কোন জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের অবশ্যই দেশপ্রেম, দৃঢ় চেতনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পেশাদারিত্ব থাকতে হবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের কথা উদ্যোগের সঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, দেশ এখনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

তিনি বলেন, দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষক, বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম, যথাযথ শ্রেণীকক্ষ, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, অবকাঠামো, সহায়ক পরিবেশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক এবং প্রশিক্ষণের সুবিধা সংক্রান্ত ঘাটতির কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমি মেয়েদের বেশি পছন্দ করি, আমার নামে এ অপবাদ আছে : রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১২:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ইউআইটিএস এর তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বর্ণপদক পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর হাতে পুরষ্কার ও সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। এসময় জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, সমাজে চলমান মূল্যবোধ অবক্ষয়রোধে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে।

এছাড়া উচ্চ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসম্পন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

পরে দুপুরে এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। এসময় তিনি গ্র্যাজুয়েট প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবনে দেশ ও জনগণের সেবা সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

সনদ বিতরণ নিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি জামিলুর রেজা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বললাম। তিনি জানালেন, এখানে ৪০ শতাংশ মেয়ে এবং ৬০ শতাংশ ছেলে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, এখানে গোল্ড মেডেল দিলাম আটটা। এরমধ্যে সাতটাই মেয়েরা পেল। একটা মাত্র ছেলে, এটা না পেলেও ভালো হতো। যে পেয়েছে সে যে সম্মান রক্ষা করতে পারছে এজন্য তাকে ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, মেয়েরা ভেবো না আমি তোমাদের বিদ্বেষী। আসলে আমি মেয়েদের বেশি পছন্দ করি। অনেকেই এমনটা মনে করেন। আমার বিরুদ্ধে এমন অপবাদ আছে। আমি অস্বীকার করি না। তবে সমতা রক্ষা করা দরকার।

দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মানসিকতা ছাড়া কোন জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের অবশ্যই দেশপ্রেম, দৃঢ় চেতনা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং পেশাদারিত্ব থাকতে হবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের কথা উদ্যোগের সঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, দেশ এখনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

তিনি বলেন, দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষক, বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম, যথাযথ শ্রেণীকক্ষ, সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, অবকাঠামো, সহায়ক পরিবেশ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক এবং প্রশিক্ষণের সুবিধা সংক্রান্ত ঘাটতির কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।