বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র ওপর আরোপিত ভ্যাট নিয়ে অর্থমন্ত্রীর অবস্থান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, তিনি মুরুব্বি মানুষ। কী কয় আর না কয় ঠিক নাই। তার কইতেও দেরি নাই, ক্ষমা চাইতেও দেরি নাই।
সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কুখ্যাত শত্রু (অর্পিত) সম্পত্তি আইনের ৫০ বছর : জনগণের দুর্দশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন।
ভ্যাটবিরোধী আন্দোলনকারীরা যেখানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করছেন, অর্পিত সম্পত্তি আইনের সমস্যা সমাধানেও সংখ্যালঘুদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন সুরঞ্জিত।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ ৫০ বছরের সৃষ্ট সমস্যার সমাধান একমাত্র প্রধানমন্ত্রী চাইলেই সম্ভব। ভ্যাট নিয়ে সমস্যার সমাধান হচ্ছে, সংখ্যালঘুদেরও সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৫০ সাল থেকে হিন্দুদের নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। পাকিস্তান শত্রু সম্পত্তি আইন করে তাদের জায়গা ফেরত দেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশেও ৪৪ বছরে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংখ্যালঘুদের নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়ায় ৩৭ শতাংশ থেকে এখন ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই ৯ শতাংশই ধরে রাখা এখন চ্যালেঞ্জ। এখন যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে একসময় শূন্যতে নেমে আসবে।
অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সমস্যার সমাধান প্রধানমন্ত্রী চাইলেই করতে পারেন মন্তব্য বলেও করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, ডিসিদের নিয়ে তিনি যদি একটা সম্মেলন করে এক মাসের মধ্যে সব ভেস্টেড প্রপার্টি সম্পর্কে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় তাহলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আমাকে এমন একটা জায়গা দেখান যেখানে টাকা চায় না। ভূমিতে একটা না একজোড়া মন্ত্রী আছে। তাদের নিজেদেরই এই আইনের পথে আছে কিনা সন্দেহ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, খুশি কবীর, বাংলাদেশের সামজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত প্রমুখ।