হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবারও ফসল হারানোর আশঙ্কা করছেন হাওরের কৃষকরা। কারণ, নির্ধারিত সময়েও শেষ হয়নি সেখানে বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় প্রশাসনের হিসাবে এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে ৬০ শতাংশ বাঁধের কাজ। বাঁধ নির্মাণ-সংক্রান্ত ৯৪৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মধ্যে কাজ শেষ করেছে মাত্র ৪৫০টি। আগাম বন্যা এ মাসেই হানা দিতে পারে- এমন পূর্বাভাসের পরও বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ফসলহানির।
হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে বড় বড় হাওর এলাকায় স্থানীয় কৃষকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন। গত বৃহস্পতিবার বড় বড় হাওরের পাড়ে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে কৃষকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতে আশপাশের বিভিন্ন
গ্রামের শত শত কৃষক যোগ দিচ্ছেন। তাহিরপুরের লেদারবন্দ হাওরেও কৃষকদের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। তারা দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন। নির্মাণকাজে অবহেলা ও দেরির জন্য তারা পাউবোকে দোষ দিচ্ছেন।
হাওরের বাঁধ নির্মাণ শুরু হওয়ার তারিখ ছিল ১০ ডিসেম্বর, যা শেষ করার নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক কোদাল মাটিও পড়েনি অর্ধেকের বেশি বাঁধে। যে বাঁধগুলোর কাজ শেষ হয়েছে সেগুলোর স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা রয়েছে কৃষকদের। গত রোববারের বৃষ্টির পর তড়িঘড়ি করে কয়েকটি এলাকায় বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে পাউবো। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা দাবি করছেন, বন্যার আগেই কাজ শেষ হবে। তবে কৃষকদের অনেকের আশঙ্কা, শেষ সময়ে তাড়াহুড়ার কাজে বাঁধ দুর্বলই থেকে যাবে। দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া এলাকার কৃষক রহমত আলী বলেন, ঢল আসা শুরু হলে তাড়াহুড়া করে বাঁধে মাটি ফেলার ব্যবস্থা করেন কর্মকর্তারা। এভাবে বানানো বাঁধ দুর্বল হয়। কয়েক বছর ধরে এমন হয়ে আসছে বলে তিনি দাবি করেন।
গত মৌসুমে বাঁধ নির্মাণে পাউবো ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ঠিকাদার প্রথা বাতিল করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ঠিকাদারদের বদলে সব বাঁধের কাজ স্থানীয় কৃষকদের সমন্বয়ে গঠিত পিআইসির মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। আগে পাউবো কর্মকর্তা এ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। এভাবে কর্তৃত্ব খর্ব হওয়ায় কিছুটা নাখোশ হয়েছেন পাউবো কর্মকর্তারা। অভিযোগ, মূলত এ কারণেই পাউবো কর্মকর্তারা সংস্কারে নানা টালবাহানা করে সময় নষ্ট করছেন। তারা দায়িত্ব এড়িয়ে চলছেন। পিআইসি কমিটি বলছে, হাওরের পানি না নামায় বাঁধের কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পাউবো ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতায় বাঁধ নির্মাণে দেরি হচ্ছে।
গত বছর আগাম বন্যার অভিজ্ঞতায় সরকার কঠোর হয়। বাঁধ সংস্কারে নতুন নীতিমালা হয়। তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বা পিআইসি গঠন করা হয় পুরনো আদলেই। এ কারণে অভিযোগ উঠেছে, হাওরে ফসল রক্ষার নামে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করে সরকারি অর্থ অপচয় ও লুটপাটে নেমেছেন কমিটির কিছু সদস্য- যারা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা দাবিদার। তাদের নেতৃত্বে নির্মিত বাঁধে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। মাটি কাটা হচ্ছে বাঁধের পাশ থেকেই। স্থানীয়দের আশঙ্কা, সামান্য পানির চাপেই এসব বাঁধ ভেসে যাবে। এসব প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা লুটপাটের ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে পিআইসি কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্বও বাড়ছে।
জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় হাওরের বাঁধ সংস্কার না হলেও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর উপ-প্রকল্পের আওতায় ভীমখালী ইউনিয়নে ডুবন্ত বাঁধ পুনরাকৃতীকরণ চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পিআইসি কমিটি। এসব প্রকল্পে গ্রামীণ সড়ক ও হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে পাউবো। নীতিমালা উপেক্ষা করে কম ঝুঁকিপূর্ণ এসব স্থানে বেড়িবাঁধ বানানোর নামে সরকারের অর্থের অপচয় করা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। একটি সূত্র মতে, আগে এ ইউনিয়নে পাউবোর কোনো প্রকল্প ছিল না। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মন্নানের মেয়াদে পাউবো অনুমোদিত উজ্জ্বলপুর থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত একটি মাত্র প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল সাড়ে ছয় লাখ টাকা। আর তা দিয়েই গত বছর দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। এ বছর সরকারের উদারতার সুযোগে ব্যয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে প্রায় ৮২ লাখ টাকা।
হাওরে বাঁধ নির্মাণ কাজে দেরি হয়েছিল গত বছরও। এর ফলে গত বছরের মার্চ-এপ্রিলে হাওরের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ মাঠের বোরো ফসল। সরকারি হিসাবেই দুই লাখ ২৩ হাজার ৮২ হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যায়। যা থেকে চাল উৎপাদন হতে পারত প্রায় ১০ লাখ টন। পাশাপাশি ক্ষতি হয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদেরও। কর্মহীন হয়ে পড়েন অসংখ্য কৃষিশ্রমিক। চালের বাজার চড়ে যায় অস্বাভাবিক। এসব কারণে সরকার এবার বোরো উৎপাদনে মহাপরিকল্পনা নেয়। কিন্তু হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মে এ পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর আবাদ হয়েছিল দুই লাখ ২৩ হাজার ৮৫ হেক্টরে। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় আবাদ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা।
সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় ১১৫টি ক্লোজার এবং প্রায় ১৫শ’ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৭৭ কোটি টাকা। ৯৬৫টি পিআইসির মাধ্যমে বাঁধের কাজ চলছে। গতকাল পর্যন্ত অধিকাংশ বাঁধেই ৪০ থেকে ৫০ ভাগের বেশি কাজ হয়নি।
জগন্নাথপুরের নলুয়ার হাওর পাড়ের বোরাখালী গ্রামের কৃষক সাঈদুর রহমান বললেন, বোরাখালী স্লুইসগেট সংলগ্ন বাঁধে ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও ৩০ থেকে ৪০ ভাগ কাজই হয়নি। একইভাবে এই হাওরের হালেয়া পতিত বাঁধে মাটি পড়েছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ। দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের বৈশাখী বাঁধ ভেঙেই গত বছর হাওর ডুবেছিল। এই বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ ভাঙনকবলিত অংশটুকু এখনও ভরাট হয়নি। বাঁধের কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি নূরে আলম চৌধুরীকে বুধবার আটক করা হয়েছে।
জামালগঞ্জের হালির হাওরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজার কালীবাড়ী। ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে এই ক্লোজারে। দুর্মুজ-কমপেকশন হয়নি বললেই চলে। এ হাওরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মামদপুর বাঁধেরও একই অবস্থা। এ উপজেলার বোগলাখালী বাঁধে ৫০ ভাগ ও গজারিয়া বাঁধে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কাজ হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার মাটিয়ান হাওরের আলমখালী, শনির হাওরের লালুর ঘোয়ালা, সাহেবনগর ও পাঁচনালিয়া বাঁধে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কাজ হয়েছে। মাটিয়ান হাওরের বোয়ালামারা আফরবাঁধে ১০ থেকে ২০ ভাগ কাজ হয়েছে। ধর্মপাশার সোনামোড়ল হাওরের কাটাখালী বাঁধে ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কাজ হয়েছে। এ উপজেলার ঘুরমার হাওরের হাসুয়া-পাসুয়া বাঁধের কাজের অগ্রগতি হতাশাজনক। বেশিরভাগ হাওর রক্ষা বাঁধেই কমপেকশন, স্তোফ ও ঘাস লাগানো হয়নি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওরের হরিমনের ভাঙা সবচেয়ে বিপজ্জনক; এই ভাঙনের ৭০ মিটার অংশে এখনও কাজ হয়নি। বেকা বাঁধে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ কাজ হয়েছে। হাওরপাড়ের রায়পুরের উত্তরের বাঁধে ৫০ ভাগ কাজ হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার দেখার হাওরের জঙ্গলশ্রীর পাশের সুরমা নদীর পাড়ের বাঁধের কাজ এখনও শেষ হয়নি। শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরপাড়ের সয়দেব পাশা ও বোয়ালিয়া বাঁধের পাঁচটি পিআইসির কাজ শুরুই হয়নি। হাওরের কাদিরপুর থেকে সেননগর পর্যন্ত চারটি প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি। কুশিয়ারা নদীর ডানতীরের দুটি অংশে কাজ হয়নি। উপজেলার ভাণ্ডা হাওরের আনন্দপুর বাজারের পূর্বদিকের বাঁধ এবং হবিবপুর গ্রামের পাশের বাঁধের কাজ হয়নি।
জনপ্রতিনিধি ও সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য: এ প্রসঙ্গে সিপিবির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, গত তিন দিনে ১৭টি বাঁধ ঘুরেছি, অনেক বাঁধে এখনও মাটিই ফেলা হয়নি।
কৃষক সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল বাশার ঠাকুর খান বলেন, ধর্মপাশার হলদির হাওরের চারটি পিআইসিতে বরাদ্দ কোটি টাকা। অথচ বাঁধ সংস্কার যেভাবে করা হয়েছে, তাতে পানির প্রথম ধাক্কায়ই বাঁধ ভেসে যাবে। বাঁধের গোড়া থেকে মাটি তোলা হয়েছে। কমপেকশন-স্তোফ কিছুই হয়নি।
‘হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের’ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু বলেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পাউবো কর্মকর্তারাই বলছেন, ৬৭ ভাগ কাজ হয়েছে। বাকি কাজ করবে কখন? গত বছর হাওররক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হওয়ায় নীতিমালা বদল করা হলো। সরকার বাঁধ নির্মাণে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিল। কিন্তু কাজের অবস্থা দেখে হতাশ হতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম বলেন, পানি না নামার কারণে বাঁধের কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। বাঁধের কাজ শুরু ও শেষ করার জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা কেবল সুনামগঞ্জের জন্য নয়, সারাদেশের জন্য। কিন্তু প্রকৃতি ও অবস্থানগত ভিন্নতার কারণেই এখানে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের মতো নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের বাঁধের অবস্থা একই রকম। নেত্রকোনার প্রায় ৬০টি হাওরের ফসল রক্ষায় ৪৫টি বাঁধের সংস্কারে পিআইসি কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল পর্যন্ত অধিকাংশ বাঁধের কাজ শেষ হয়নি। কয়েকটিতে অল্প মাটি ফেলে রাখা হয়েছে। স্থানীয় কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে কৃষক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করছেন।
কিশোরগঞ্জে প্রথমবারের মতো ২শ’ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬শ’ কোটি টাকা। এ বাঁধের কাজ বিলম্বে শুরু হওয়ায় কাজ শেষ হয়নি এখনও। এ বছর হাওরের বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ এনামুল হক সাংবাদিককে বলেন, বাঁধ নির্মাণে দেরি করার বৃত্ত থেকে পাউবো বেরুতে পারেনি। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের কোন্দল এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব এ জন্য দায়ী। এবার ধান দেরিতে লাগানো হয়েছে। তাই ঝুঁকিটা বেশি। ধান কাটতে যত সময় লাগবে ফসল হানির আশঙ্কা তত বাড়বে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূইয়া জানান, গতকাল পর্যন্ত বাঁধের কাজ হয়েছে ৫৬ ভাগ। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময় প্রতি বছরই বাড়ানো হয়। কাজ না করে পার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। পিআইসি এবং সংশ্নিষ্ট সবাইকে এবারও দায় নিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবাদিককে বলেন, হাওরে এবার পানি নামতে দেরি হয়েছে। ড্রেজিং করে পানি সরিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হবে। এবার ভালোভাবে কাজ হচ্ছে, তাই একটু সময় লাগছে। বন্যার সময় পানি যাতে দ্রুত যেতে পারে সে জন্য হাওর থেকে ড্রেজিং করে ভৈরবের দিকে দুটি খাল তৈরি করা হয়েছে। এতে পানি দ্রুত সরে যাবে।