হাওর বার্তা ডেস্কঃ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র সেন এমপি বলেছেন, দগত বছর হাওরের বাঁধ ভেঙে ফসলহানি ঘটেছিল। এতে দুর্যোগ দেখা দেয় সুনামগঞ্জ জেলায়। এবার আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে চাই না। হাওর ঘুরে মনে হয়েছে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রত্যেকটি হাওরে মেশিন দিয়ে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ চলছে। আশা করি সঠিক সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ হবে এবং ফসলের উৎপাদন ভাল হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাঁধ নির্মাণ কাজে এবার দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে।’ অবশ্য হাওররক্ষা বাঁধ পরিদর্শনকালে কাজে কিছু অসঙ্গতি নজর কাড়ে সংসদীয় দলেরও।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত জামালগঞ্জের পাগনার হাওরের মুছিবাড়ী, হালির হাওরের লক্ষীপুর ক্লোজার, ধানকুনিয়ার নূরপুর ক্লোজার, মঈনের ঢালা, চন্দ্রসোনার তালের শয়তাখালী ভাঙা পরিদর্শন করেন তাঁরা। এসময় এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বাঁধ কেমন হয়েছে খোঁজ খবর নেন সংসদীয় কমিটির দায়িত্বশীলরা।
সংসদীয় কমিটি সরেজমিনে বাঁধ দেখার সময় চন্দ্রসোনার থাল হাওরের কাটাখালি ক্লোজারের বাঁধে সুরমা নদীর পাড় কেটে নরম ও কাদা মাটি ফেলা হচ্ছে বলে দেখেন জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম। পিআইসি সত্যরঞ্জনকে এভাবে মাটি ফেলতে নিষেধ করে হাওরের উঁচু স্থান থেকে শুঁকনা মাটি ফেলার নির্দেশ দেন এবং ভাল করে দুর্মজ করার কথাও বলে দেন।
এরপর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ধানকুনিয়া হাওর রক্ষা বাঁধেও নদীরপাড় কেটে মাটিকাটার দৃশ্য নজর কাড়ে প্রতিনিধি দলের। পরে জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বাঁধের যথাযথ সংরক্ষণে ব্যবস্থা নেবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। দুপুর ২টায় জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের মতবিনিময় করেন প্রতিনিধি দল। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম আল ইমরান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদ, ভাইস চেয়ারম্যান মিসবাহ্ উদ্দিন, সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করীম শামীম, ফেনারবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাওর পরিদর্শনের সময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, ফরিদুল হক খান এমপি, ফজলুল হক এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোঃ সাবিরুল ইসলাম, উপ-সচিব ও কমিটির সদস্য সচিব আরিফ পাশা, সভাপতির একান্ত সচিব তারেক জাহির, কমিটির কর্মকর্তা মোঃ আসিফ হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।