হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্র ছাড়া আর কোনো মনোনয়ন জমা পড়েনি। আইন অনুযায়ী, প্রার্থীর সংখ্যা একজনের বেশি না হলে তাকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। সে সময়ও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
গতকাল নির্বাচন কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে রাষ্ট্রপতি পদে মো. আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তিনটি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। প্রথম মনোনয়নপত্রটি দাখিল করেন সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের, দ্বিতীয়টি দাখিল করেন সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং তৃতীয় মনোনয়নপত্রটি দাখিল করেন সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক।
মনোনয়নপত্র ১ এর প্রস্তাবক সংসদ সদস্য ওবায়দুল কাদের এবং সমর্থক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মনোনয়নপত্র ২ এর প্রস্তাবক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, সমর্থক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ এবং মনোনয়নপত্র ৩ এর প্রস্তাবক সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও সমর্থক সংসদ সদস্য আতিউর রহমান আতিক।
নির্বাচন কমিশনের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, রাষ্ট্রপতি পদে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর কারো মনোনয়নপত্র পাওয়া যায়নি। সোমবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী হলে ১৮ ফেব্রুয়ারি সংসদের অধিবেশন কক্ষে বিধিমালা অনুযায়ী ভোট হবে। সেখানে সংসদ সদস্যরাই ভোট দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি বেছে নেবেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ৫ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি করা হয়।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. আবদুল হামিদ। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, মেয়াদ অবসানের কারণে রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির তারিখের আগের নব্বই থেকে ষাট দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। ফলে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।