ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৭৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। আর এই কৃষিকে এগিয়ে নিতে যারা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন সেই কৃষকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নিত্যনতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি। এ রমকই একটি যন্ত্র ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’। আর এ যন্ত্রটির সাহায্য এখন আর হাত দিয়ে নয়, মেশিন দিয়েই ধানের চারা রোপণ করবেন কৃষকরা।

এতে করে কৃষকের বীজ, শ্রম ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন খরচও অনেকটা কমে আসবে। বৃদ্ধি পাবে ফলন। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে  দিনে দিনে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ভিন্ন পেশায় ঝুঁকে পড়ছে আমাদের কৃষকরা। তাই ভরা মৌসুমে বেশি টাকা দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে শস্য রোপণ ও কর্তনের সময় বিপাকে পড়তে হয় ফসলি জমির মালিকদের। তবে আধুনিক এই চারা রোপণ যন্ত্রটি কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নে উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে ফসলের মাঠে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপণ করে কৃষকদেরকে এ যন্ত্রে ব্যবহার শিখিয়ে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির  সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি, ওই কমিটির সদস্য মো. মোসলেম উদ্দীন এমপি, আবদুল মান্নান এমপি, মো. নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, মো. মামুনুর রশিদ কিনর এমপি, একেএম রেজাউল করিম তানসেন এমপি, মো. নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। এ সময় তারা এ অঞ্চলের কৃষির সমস্যা ও সাধনের  নিয়ে কৃষকদের সাঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে এক দিনে প্রায় ৮ বিঘা জমি রোপণ করা যায়, যা প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় ৮ গুণ বেশী। আর প্রতি বিঘা জমি রোপণ করতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় ৫ গুণ খরচ কম লাগবে। ঘণ্টায় জ্বালানি (অকটেন) খরচ হবে মাত্র ০.৫-০.৬ লিটার। যন্ত্রটি একসঙ্গে চার সারিতে চারা লাগিয়ে যাবে। যন্ত্রে মার্কিং সিস্টেম থাকার ফলে চারাগুলো হবে সোজা ও সারিবদ্ধ। তবে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দিয়ে চারা রোপণ করতে হলে ট্রে-পদ্ধতি বা পলিথিন সিটে চারা তৈরি  করতে হবে।

বীজতলা তৈরির জন্য আলাদা জমির প্রয়োজন পড়ে না। কৃষক আছাদ মিয়া বলেন, তিনি তিন বছর ধরে এ যন্ত্র ব্যবহার করছেন। এটি ব্যবহার করে কৃষকরা লাভবান হবে। সময় ও শ্রম কম লাগবে। উৎপাদন খরচও কম লাগবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, আধুনিক এ রোপণ যন্ত্র দিয়ে হাতের সাহায্যে ছাড়া খুব সহজেই অত্যন্ত কম খরচে কম শ্রম ও সময়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ধানের চারা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করতে পারবেন কৃষকরা। এ যন্ত্র দিয়ে লাগানো চারা নষ্ট হয় না। বৃষ্টির মধ্যেও খুব সহজে চারা রোপণ করা যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ০৪:০১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। আর এই কৃষিকে এগিয়ে নিতে যারা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন সেই কৃষকদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নিত্যনতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি। এ রমকই একটি যন্ত্র ‘রাইস ট্রান্সপ্লান্টার’। আর এ যন্ত্রটির সাহায্য এখন আর হাত দিয়ে নয়, মেশিন দিয়েই ধানের চারা রোপণ করবেন কৃষকরা।

এতে করে কৃষকের বীজ, শ্রম ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন খরচও অনেকটা কমে আসবে। বৃদ্ধি পাবে ফলন। কৃষি প্রধান বাংলাদেশে  দিনে দিনে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ভিন্ন পেশায় ঝুঁকে পড়ছে আমাদের কৃষকরা। তাই ভরা মৌসুমে বেশি টাকা দিয়েও কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে শস্য রোপণ ও কর্তনের সময় বিপাকে পড়তে হয় ফসলি জমির মালিকদের। তবে আধুনিক এই চারা রোপণ যন্ত্রটি কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নে উত্তর ভাড়াউড়া গ্রামে ফসলের মাঠে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দিয়ে ধানের চারা রোপণ করে কৃষকদেরকে এ যন্ত্রে ব্যবহার শিখিয়ে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির  সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি, ওই কমিটির সদস্য মো. মোসলেম উদ্দীন এমপি, আবদুল মান্নান এমপি, মো. নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, মো. মামুনুর রশিদ কিনর এমপি, একেএম রেজাউল করিম তানসেন এমপি, মো. নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি। এ সময় তারা এ অঞ্চলের কৃষির সমস্যা ও সাধনের  নিয়ে কৃষকদের সাঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে এক দিনে প্রায় ৮ বিঘা জমি রোপণ করা যায়, যা প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় ৮ গুণ বেশী। আর প্রতি বিঘা জমি রোপণ করতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় ৫ গুণ খরচ কম লাগবে। ঘণ্টায় জ্বালানি (অকটেন) খরচ হবে মাত্র ০.৫-০.৬ লিটার। যন্ত্রটি একসঙ্গে চার সারিতে চারা লাগিয়ে যাবে। যন্ত্রে মার্কিং সিস্টেম থাকার ফলে চারাগুলো হবে সোজা ও সারিবদ্ধ। তবে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দিয়ে চারা রোপণ করতে হলে ট্রে-পদ্ধতি বা পলিথিন সিটে চারা তৈরি  করতে হবে।

বীজতলা তৈরির জন্য আলাদা জমির প্রয়োজন পড়ে না। কৃষক আছাদ মিয়া বলেন, তিনি তিন বছর ধরে এ যন্ত্র ব্যবহার করছেন। এটি ব্যবহার করে কৃষকরা লাভবান হবে। সময় ও শ্রম কম লাগবে। উৎপাদন খরচও কম লাগবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, আধুনিক এ রোপণ যন্ত্র দিয়ে হাতের সাহায্যে ছাড়া খুব সহজেই অত্যন্ত কম খরচে কম শ্রম ও সময়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ধানের চারা সারিবদ্ধভাবে রোপণ করতে পারবেন কৃষকরা। এ যন্ত্র দিয়ে লাগানো চারা নষ্ট হয় না। বৃষ্টির মধ্যেও খুব সহজে চারা রোপণ করা যায়।