ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্ঞানের অভাবেই শিক্ষকদের আন্দোলন : অর্থমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ২৮৫ বার

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সচিবালয়ে বলেছেন, নিজেদের বেতন স্কেল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ আন্দোলন দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে। শিক্ষকদের পদোন্নতির নিয়মটি নিজেরা তৈরি করে নিয়েছেন। তাই তাদের পদোন্নতি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। পে-স্কেলে কী আছে, সেটা না বুঝেই তরা আন্দোলন করছেন। তারা সবাই অধ্যাপক হতে চান। তাদের দুনীতির এ চর্চা বন্ধ করা উচিত।

মঙ্গলবার দুপুরে অর্থমন্ত্রণালয়ে পে-স্কেল পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকেদর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মবিরতি যৌক্তিক নয়। এ ধরনের ব্যবহার অত্যন্ত দুঃখজনক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায়ই বলা হয়, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কম, তাই তারা ঘুষ খান। তবে এটাও ঠিক যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভালো বেতন না পাওয়ায় দুর্নীতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। নতুন পে-স্কেলে অনেকটা কমে যাবে।

মুহিত বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় দুর্নীতি করে। সেটা কোনো দিনই বন্ধ হবে না। তবে তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে জনগণের মতামত নিতে হবে। কারণ টাকাটা জনগণই দেয়।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি বাড়ে সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি করেছিল। আমরা তার বাস্তবায়ন করেছি। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের সঙ্গে তুলনা করলে পে-স্কেলই গ্রহণযোগ্য হবে। পরবর্তীতে কেউ ক্ষমতায় এসে না মানলে আমাদের করার কিছুই কথাকবে না।

যুগান্তকারী এ পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুহিত।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় পদেও অতিরিক্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োজিত আছেন। যেটা থাকার কথা নয়। উপরের পদে কম সংখ্যক শিক্ষক থাকবেন আর নিচের পদগুলোতে থাকবেন বেশি সংখ্যক শিক্ষক। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া সরকার বিবেচনা করবে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জ্ঞানের অভাবেই শিক্ষকদের আন্দোলন : অর্থমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:০৫:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সচিবালয়ে বলেছেন, নিজেদের বেতন স্কেল সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ আন্দোলন দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্ঞানের অভাবে আন্দোলন করছে। শিক্ষকদের পদোন্নতির নিয়মটি নিজেরা তৈরি করে নিয়েছেন। তাই তাদের পদোন্নতি ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে। পে-স্কেলে কী আছে, সেটা না বুঝেই তরা আন্দোলন করছেন। তারা সবাই অধ্যাপক হতে চান। তাদের দুনীতির এ চর্চা বন্ধ করা উচিত।

মঙ্গলবার দুপুরে অর্থমন্ত্রণালয়ে পে-স্কেল পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকেদর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এ ধরনের কর্মবিরতি যৌক্তিক নয়। এ ধরনের ব্যবহার অত্যন্ত দুঃখজনক।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায়ই বলা হয়, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কম, তাই তারা ঘুষ খান। তবে এটাও ঠিক যে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভালো বেতন না পাওয়ায় দুর্নীতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছিল। নতুন পে-স্কেলে অনেকটা কমে যাবে।

মুহিত বলেন, কিছু মানুষ আছে যারা সব সময় দুর্নীতি করে। সেটা কোনো দিনই বন্ধ হবে না। তবে তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে জনগণের মতামত নিতে হবে। কারণ টাকাটা জনগণই দেয়।

তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যদি বাড়ে সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি করেছিল। আমরা তার বাস্তবায়ন করেছি। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের সঙ্গে তুলনা করলে পে-স্কেলই গ্রহণযোগ্য হবে। পরবর্তীতে কেউ ক্ষমতায় এসে না মানলে আমাদের করার কিছুই কথাকবে না।

যুগান্তকারী এ পে-স্কেল নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আর কোনো অভিযোগ থাকবে না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মুহিত।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বড় পদেও অতিরিক্ত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োজিত আছেন। যেটা থাকার কথা নয়। উপরের পদে কম সংখ্যক শিক্ষক থাকবেন আর নিচের পদগুলোতে থাকবেন বেশি সংখ্যক শিক্ষক। শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া সরকার বিবেচনা করবে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।