হাওর বার্তা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের হাওরের পানিই সম্পদ। মাঘ মাসেও হাওর থেকে পানি না নামায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় জেলার লাখ লাখ কৃষক। অন্য বছর ডিসেম্বর মাসেই পুরোদমে জেলার হাওর জুড়েই বোরো ধানের চারা রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করে কৃষকগন। এবছর তা আর হয়ে উঠে নি। পানি যে পরিমানে হাওরে থেকে কমছে তাতে করে অনেক বোরো জমি রোপন করতে না পারায় চরম ক্ষতির শিকার হবে তারা।
জানাযায়, যে পানির মাঝেই হাওরপাড়ের মানুষের নিত্য বসবাস সেই পানিই এখনও বোরো রোপনের মৌসুমে কৃষকের মহা সংকটের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। গত দুই বছর পানি উন্নয়ন র্বোডের অনিয়ম আর দূর্নীতির কারনে অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে ফসল হারিয়ে লাখ লাখ কৃষক একবারেই সর্বশান্ত।
সব কষ্ট ভুলে নতুন করে এবারও মহাজনী দাদন, চড়া সুদে টাকা নিয়ে এক ফসলী বোরো জমি চাষাবাদের জন্য স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু এবছর হাওরের পানি না কমায় নভেম্বরে বীজতলা তৈরী করতে না পারা ও এখনও পানি না কমায় বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করতে পারে নি অনেক হাওরে কৃষকগন।
এবারও বাঁধ নির্মানে দেরীর কারনে অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকায় সোনালী বোরো ধান গোলায় তুলার স্বপ্ন যেন স্বপ্ন-ই থেকে যাবে হাওরবাসীর। প্রতি বছর ১পৌষ থেকে ১৫ মাঘ পর্যন্ত বোরো আবাদের সময়। এই সময় ৪০-৪৫দিন বয়সী চারা লাগানো ব্যস্থ সময় পার করে কৃষকরা আর জলাশয় শ্রেনীর জমিতে ২মাস বয়সী চারা লাগায়।
বীজ বপনের সময় পার হয়ে গেলেও হাওরে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় ১লাখ হেক্টরের অধিক বোরো জমি অনাবাধি রয়েছে এখনও। ফলে এবার বোরো ধানের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল।