হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভোলায় আসছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি মঙ্গল ও বুধবার (১৬-১৭ জানুয়ারি) জেলার চরফ্যাশন এবং বাংলাবাজারে দু’টি সুধী সমাবেশে যোগদানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আগামীকাল সকাল ১১টায় রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার এবং অভ্যর্থনা জানানো হবে। দুপুর ২টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলা সদরে নির্মিত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সু-উচ্চ জ্যাকব টাওয়ার উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে টিবি হাইস্কুল মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
এছাড়াও তিনি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, বেগম রহিমা ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, নজরুল ইসলাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও রসুলপুর-এওয়াজপুর মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন। একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে করে কুকরী-মুকরী যাবেন। সেখানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
আগামী বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় তিনি ভোলা সদরের উপ-শহর বাংলাবাজারে স্বাধীনতা জাদুঘরের উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১২টায় ফাতেমা খানম ডিগ্রি কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে ভোলা ও চরফ্যাশন উৎসবের শহরের পরিণত হয়েছে। ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও আলোকসজ্জায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আগমনে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। দুই উপজেলাসহ পুরো জেলায় জোরদার করা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর ভোলায় এটিই তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর।
এদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বাধুনিক ও সু-উচ্চ জ্যাকব ওয়াচ টায়ারটি ১৮ তলা বিশিষ্ট। এটি ২১৫ ফুট উঁচু এবং নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি টাকা। ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় এ টাওয়ারে ক্যাপসুল লিফ্ট রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে উচ্চ ক্ষমতার বাইনোকুলার। যাতে ১০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার দৃশ্য দেখা যাবে। টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে।