ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের মানহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিহারের পরামর্শ আহ্বান দিয়েছেন : শিক্ষামন্ত্রীর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৭৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুণগত শিক্ষা দিতে পারছে না সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিহার করতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, মুনাফার চিন্তা মাথায় রেখে বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না। এ চিন্তা বাদ দেন। যারা গুণগত শিক্ষা দিতে পারছে না সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীরা পরিহার করবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণ করতে পারছে না। অথচ তারা সেবার মনোভাব ও প্রকৃত শিক্ষা প্রদানের দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়াই ব্যবসা ও মুনাফা চিন্তায় প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আর বেশি দিন চলতে পারবে না।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখনও শর্ত পূরণ করেনি। কিন্তু একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠাদন করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

আইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষকদের গবেষণা গুরুত্বারোপ করছে। সেই সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের পথ সুগম করে দিচ্ছে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থে আইন না মেনে নানা ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা প্রত্যারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাবর্তন বক্তা জর্জিয়ার ককেশাস ইউনিভার্সিটি সভাপতি কাখা সেঙ্গলিয়া বলেন, একটা সময় ছিল যখন প্রাকৃতিক সম্পদকে শক্তি হিসেবে বিবেচন করা হতো। আজ জ্ঞানই হলো সেই শক্তি। আর ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবে সেই শক্তি ঘর।

তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের যথেষ্ট মানবসম্পদ থাকে তবেই বিশ্বায়নে আমরা সবচেয়ে শক্তিধর হিসেবে বিবেচিত হব। আজকে যারা গ্রাজুয়েট হলেন তারা সমস্ত শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ পৃথিবীর সবার জীবন উন্নয়নে কাজ করবেন।

jagonews24

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, ২০১২ সালে মাত্র ৬৬ জন শিক্ষার্থী দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। আজ এখানে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ডিগ্রি নিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে গেছেন তাদের সংখ্যাও প্রায় ১৫ হাজার। আমাদের শুধু শিক্ষার্থী বৃদ্ধি হয়নি। বর্তমান পৃথিবীর চাহিদা অনুযায়ী নতুন বিভাগ, বিশেষ কোর্সও চালু করা হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তনে ৩ হাজার ৪৯৮ জনকে গ্রাজুয়েট সনদ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন গ্রাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক ও ১৫ জনকে স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস এম মাহবুবুল হক মজুমদার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিক্ষার্থীদের মানহীন বিশ্ববিদ্যালয় পরিহারের পরামর্শ আহ্বান দিয়েছেন : শিক্ষামন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুণগত শিক্ষা দিতে পারছে না সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিহার করতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আজ আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, মুনাফার চিন্তা মাথায় রেখে বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না। এ চিন্তা বাদ দেন। যারা গুণগত শিক্ষা দিতে পারছে না সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার্থীরা পরিহার করবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণ করতে পারছে না। অথচ তারা সেবার মনোভাব ও প্রকৃত শিক্ষা প্রদানের দৃষ্টিভঙ্গি ছাড়াই ব্যবসা ও মুনাফা চিন্তায় প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আর বেশি দিন চলতে পারবে না।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এখনও শর্ত পূরণ করেনি। কিন্তু একাধিক ক্যাম্পাসে পাঠাদন করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই।

আইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষকদের গবেষণা গুরুত্বারোপ করছে। সেই সঙ্গে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের পথ সুগম করে দিচ্ছে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠি স্বার্থে আইন না মেনে নানা ধরনের ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারা প্রত্যারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সমাবর্তন বক্তা জর্জিয়ার ককেশাস ইউনিভার্সিটি সভাপতি কাখা সেঙ্গলিয়া বলেন, একটা সময় ছিল যখন প্রাকৃতিক সম্পদকে শক্তি হিসেবে বিবেচন করা হতো। আজ জ্ঞানই হলো সেই শক্তি। আর ভবিষ্যতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হবে সেই শক্তি ঘর।

তিনি আরও বলেন, যদি আমাদের যথেষ্ট মানবসম্পদ থাকে তবেই বিশ্বায়নে আমরা সবচেয়ে শক্তিধর হিসেবে বিবেচিত হব। আজকে যারা গ্রাজুয়েট হলেন তারা সমস্ত শক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এ পৃথিবীর সবার জীবন উন্নয়নে কাজ করবেন।

jagonews24

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, ২০১২ সালে মাত্র ৬৬ জন শিক্ষার্থী দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। আজ এখানে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ডিগ্রি নিয়ে এখান থেকে বেরিয়ে গেছেন তাদের সংখ্যাও প্রায় ১৫ হাজার। আমাদের শুধু শিক্ষার্থী বৃদ্ধি হয়নি। বর্তমান পৃথিবীর চাহিদা অনুযায়ী নতুন বিভাগ, বিশেষ কোর্সও চালু করা হয়েছে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সপ্তম সমাবর্তনে ৩ হাজার ৪৯৮ জনকে গ্রাজুয়েট সনদ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন গ্রাজুয়েটকে চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক ও ১৫ জনকে স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এস এম মাহবুবুল হক মজুমদার বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।