ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রদলের সমাবেশে সরকার বাধা দিচ্ছে : ফখরুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮
  • ২৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত পূর্বনির্ধারিত ছাত্র সমাবেশে বাধা প্রদান গণতন্ত্র চর্চার পরিপন্থী। এসময় ছাত্র সমাবেশ নির্বিঘ্নে পালন করতে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন মির্জা ফখরুল।

আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সহযোগিতা চান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।

আজ বিকালে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসার কথা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, পুলিশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ছাত্র সমাবেশকে ঘিরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল ১০ টার দিকে ছাত্র সমাবেশস্থল রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ অনুমতির জন্য প্রায় এক মাস আগে আবেদন করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ অনুমতিও দিয়েছিল। এখন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসএসএফ জানায়, সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপতির একটি প্রোগ্রাম আছে। তাই তারা নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্র সমাবেশ করতে বারণ করছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, অনুমোদনকৃত অনুষ্ঠান বন্ধ করার চেষ্টা ও গড়িমসি করা গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। এতে আরো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে এই সরকারের আমলে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে যারা সরকারে অাছে তারা কেউ ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তাই সামনে যে নির্বাচন আসছে তাতে তারা বিএনপির অংশগ্রহণ চায় না। কারণ দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনরা জয়ী হতে পারবে না। তাদের আসল উদ্দেশ্য বিএনপি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যেন নির্বাচন না হয় তারা সেই পরিবেশ তৈরী করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। আর খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হবে না। তাই আমরা বলে আসছি আলাপ-আলোচনার পরিবেশ তৈরী করুন। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন। কারণ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, দেশে কোথাও স্বস্তি নেই, শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। এই মুহুর্তে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

মন্ত্রিপরিষদের রদবদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের মাথাব্যাথা। আমাদের না। আমার মাথাব্যাথার কারণ,
আমি রাজনীতি করতে পারছি না। কথা বলার স্বাধীনতা পাচ্ছি না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ছাত্রদলের সমাবেশে সরকার বাধা দিচ্ছে : ফখরুল

আপডেট টাইম : ০২:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত পূর্বনির্ধারিত ছাত্র সমাবেশে বাধা প্রদান গণতন্ত্র চর্চার পরিপন্থী। এসময় ছাত্র সমাবেশ নির্বিঘ্নে পালন করতে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন মির্জা ফখরুল।

আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সহযোগিতা চান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।

আজ বিকালে রাজধানীর রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসার কথা ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল জানান, পুলিশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, ছাত্র সমাবেশকে ঘিরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল ১০ টার দিকে ছাত্র সমাবেশস্থল রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ অনুমতির জন্য প্রায় এক মাস আগে আবেদন করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ অনুমতিও দিয়েছিল। এখন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসএসএফ জানায়, সুপ্রিম কোর্টে রাষ্ট্রপতির একটি প্রোগ্রাম আছে। তাই তারা নিরাপত্তার স্বার্থে ছাত্র সমাবেশ করতে বারণ করছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, অনুমোদনকৃত অনুষ্ঠান বন্ধ করার চেষ্টা ও গড়িমসি করা গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। এতে আরো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে এই সরকারের আমলে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, বর্তমানে যারা সরকারে অাছে তারা কেউ ভোটে নির্বাচিত হয়নি। তাই সামনে যে নির্বাচন আসছে তাতে তারা বিএনপির অংশগ্রহণ চায় না। কারণ দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনরা জয়ী হতে পারবে না। তাদের আসল উদ্দেশ্য বিএনপি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে যেন নির্বাচন না হয় তারা সেই পরিবেশ তৈরী করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে করি না। আর খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে নির্বাচন হবে না। তাই আমরা বলে আসছি আলাপ-আলোচনার পরিবেশ তৈরী করুন। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিন। কারণ খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে এদেশে কোন নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, দেশে কোথাও স্বস্তি নেই, শান্তি নেই, নিরাপত্তা নেই। এই মুহুর্তে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

মন্ত্রিপরিষদের রদবদল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের মাথাব্যাথা। আমাদের না। আমার মাথাব্যাথার কারণ,
আমি রাজনীতি করতে পারছি না। কথা বলার স্বাধীনতা পাচ্ছি না।