ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবের নদীগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৪৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভৈরবে সকল নদী এখন পানিশূন্য, বন্ধ রয়েছে নৌ-চলাচল। বছরের পর বছর ধরে পলি জমে সকল নদী এখন ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। নদীর দু’পাড়ে হাজার হাজার কৃষক নদীর পানি দিয়ে শত শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করতো।

কালের সাক্ষী হয়ে কোনোরকম টিকে থাকা নদী ভরা যৌবন হারিয়ে পরিণত হয়েছে মরাখালে। দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় নাব্যতা কমে গিয়ে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

নদী বন্দর হিসেবে খ্যাত ভৈরবের পরিচিতি আর আগের মতো নেই। এক সময় নদী বন্দরকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল। এক সময়ের খরাস্রোতা এ নদীগুলো দিয়ে চলতো ৫’শ মণি নৌকা, লঞ্চ আর ট্রলার। আর এখন অস্তিত্বই বিলীন হয়ে গেছে। ড্রেজিংয়ের অভাবে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ভৈরবের নদীগুলো। এ অঞ্চলের প্রবাহিত যেসব নদী এখনও কোনোরকম অস্তিত্ব টিকে আছে সেগুলোর পানির প্রবাহও কমে মরা খালে পরিণত হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে নদী কেন্দ্রিক লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। ফলে এভাবেই নদীগুলো মানচিত্র থেকে দিন দিন মুছে যাচ্ছে। ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছেরও উৎস ছিল এসব নদীতে। কিন্তু মাছ ধরতে না পারায় এখানকার জেলে সম্প্রদায় পেট বাঁচাতে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এসব এখন কেবলই কালের সাক্ষী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ বলেন, নদী বন্দর খ্যাত যে নদীগুলো দিয়ে পণ্যবাহী নৌ-যান চলাচল করতো তা আর এখন দেখা যায় না। তাছাড়া এ অবস্থার কারণে সেচ কাজও ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিং কাজ চলছে। বাকি নদীগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে কিভাবে ড্রেজিং করা যায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার জন্য আশ্বাস দেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ভৈরবের নদীগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভৈরবে সকল নদী এখন পানিশূন্য, বন্ধ রয়েছে নৌ-চলাচল। বছরের পর বছর ধরে পলি জমে সকল নদী এখন ভরাট হয়ে নাব্যতা হারিয়েছে। নদীর দু’পাড়ে হাজার হাজার কৃষক নদীর পানি দিয়ে শত শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করতো।

কালের সাক্ষী হয়ে কোনোরকম টিকে থাকা নদী ভরা যৌবন হারিয়ে পরিণত হয়েছে মরাখালে। দীর্ঘদিন ধরে নদী খনন না করায় নাব্যতা কমে গিয়ে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

নদী বন্দর হিসেবে খ্যাত ভৈরবের পরিচিতি আর আগের মতো নেই। এক সময় নদী বন্দরকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল। এক সময়ের খরাস্রোতা এ নদীগুলো দিয়ে চলতো ৫’শ মণি নৌকা, লঞ্চ আর ট্রলার। আর এখন অস্তিত্বই বিলীন হয়ে গেছে। ড্রেজিংয়ের অভাবে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ভৈরবের নদীগুলো। এ অঞ্চলের প্রবাহিত যেসব নদী এখনও কোনোরকম অস্তিত্ব টিকে আছে সেগুলোর পানির প্রবাহও কমে মরা খালে পরিণত হয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে নদী কেন্দ্রিক লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা। ফলে এভাবেই নদীগুলো মানচিত্র থেকে দিন দিন মুছে যাচ্ছে। ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছেরও উৎস ছিল এসব নদীতে। কিন্তু মাছ ধরতে না পারায় এখানকার জেলে সম্প্রদায় পেট বাঁচাতে বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এসব এখন কেবলই কালের সাক্ষী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ বলেন, নদী বন্দর খ্যাত যে নদীগুলো দিয়ে পণ্যবাহী নৌ-যান চলাচল করতো তা আর এখন দেখা যায় না। তাছাড়া এ অবস্থার কারণে সেচ কাজও ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিং কাজ চলছে। বাকি নদীগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে কিভাবে ড্রেজিং করা যায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সমাধান করার জন্য আশ্বাস দেন তিনি।