নতুন বছরের শুরুতেই উৎসবে মাতবে স্কুলগুলো

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এবারও বছরের শুরুতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকার আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে উৎসবের মাধ্যমে বিনামূল্যে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। একই দিন সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। প্রতিবারের মতো এ বছরও শুরুতেই বই বিতরণ সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে। সারা দেশে এবছর প্রাক-প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন। যা গত বছর ছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৩ জন। এবার বেড়েছে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৬ জন। ইতোমধ্যে সকল পাঠ্যপুস্তক উপজেলাপর্যায়ে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান। এখন উৎসবের জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে প্রস্তুতি চলছে। এখন শুধু বই উৎসবের অপেক্ষা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জানুয়ারি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের প্রাক-প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। গত বছরের চেয়ে এবার ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। বই বেশি ছাপা হয়েছে ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৯টি। বইগুলো আকর্ষণীয় ও রঙিন। নবম-দশম শ্রেণির ১২টি সুখপাঠ্য বই দামি কাগজে রঙিন ছবিসহ ছাপা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বই বিতরণ অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ উৎসব উদযাপন করা হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান হাওর বার্তাকে বলেন, পাঠ্যপুস্তক শতভাগ উপজেলাপর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বইয়ে কোনো সমস্যা থাকলে সেটা ফেরত দিয়ে বই নেয়ার কার্যক্রম চলছে। প্রতিবছরের মতো এবারও বছরের প্রথমদিনই দেশের সকল শিক্ষার্থী নতুন চকচকে বই পাবে বিনামূল্যে। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ করা হবে। এ উৎসব চলবে নতুন বছরের শুরু থেকে এক সপ্তাহ।

এনসিটিবি বই বিতরণের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য বই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বই ছাপা ও সরবরাহের কাজ শেষ। দেশের স্বার্থে সরকারের এই পরিকল্পনা এবারও সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ও-তে ওড়না নিয়ে চলা বিতর্ক নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সব বই এখনো দেখা হয়নি। বই বিতরণ শেষ হোক। এরপর এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব।

তিনি আরও বলেন, এখন উৎসবমুখর পরিবেশে সব শিক্ষার্থীদের পাকা ভবনে বেঞ্চে বসে বই দেয়া হবে। বিনামূল্যে বই বিতরণের এ উদ্যোগ যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি শিক্ষা আধুনিক প্রতিষ্ঠানে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর