হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষকরা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যই খেলাপী ঋণ পরিশোধ করবেন। ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে দিতে হয় না এ ধারণা পোষণ করবার দিন শেষ হয়ে গেছে , এ ধারণা নিয়ে ব্যাংক থেকে কেউ ঋণ নিলে সে ঋণ কোন কাজে আসবে না।
কেননা তখন সে ঋণের টাকা কৃষিতে কাজে লাগানো হয় না আর এ সুযোগে প্রকৃত কৃষক ঋণ না পেয়ে এর সুযোগ নিচ্ছে এক শ্রেণীর মধ্যস্বত্বভোগী। যে কারণে এ ধারণা আমাদের বদলাতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায় হলে কৃষকদেরই লাভ, কেননা এ আদায়কৃত অর্থই আবার কৃষককেই দেওয়া হয়।
যা দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয়, আর এ উন্নয়নের ভাগিদার আপনারাই। ঋণ দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলে কৃষকদের দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে যেতে হয়, আর তখন সুদ দিতে হয় উচ্চ হারে যেখানে ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে সুদ অনেক কম। ব্যাংকের ঋণ সময় মত পরিশোধ করলে আপনাদের সম্মান বাড়বে।
আজ সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিযদ সম্মেলন কক্ষে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ ও খেলাপি ঋণ আদায় সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো:মনজুর মোর্শেদ।
পাকুন্দিয়া অগ্রণী ব্যাংক শাখার আয়োজনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো:খালেদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিযদের চেয়ারম্যান সরকার শামীম আহমেদ,কিশোরগঞ্জ অঞ্চল অগ্রণী ব্যাংক অফিসার সমিতির সভাপতি আজহারুল আলম,অগ্রণী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো: মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। সরকার শামীম আহমেদ বলেন, কৃষি উপকরণের সব কিছুর মূল্য বাড়লেও কৃষি ঋণের পরিমাণ পূর্বেরটাই বহাল রয়েছে;যা বাড়ানো খুবই প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে চরটেকি গ্রামের কৃষক চাঁন মিয়া ব্যাংক কর্মকর্তাদের বলেন; কৃষকরা যাতে কম সুদে ও কোন রকম দালাল ছাড়া সহজ শর্তে ঋণ পায় এ জন্য সবকারের কাছে দাবি রাখেন। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮ জন কৃষকদের মাঝে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়।