ন্যায্যমূল্যের নিশ্চয়তা ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভ হওয়ায় তুলাচাষে ঝুঁকে পড়েছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। এই বছর এ উপজেলায় ১০০ একর জমিতে তুলাচাষ হয়েছে। ফুলবাড়ী তুলা উন্নয়ন বোর্ডের ইনচার্জ ও কটন ইউনিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ২০০৮ সালে মাত্র ১০ একর জমিতে তুলাচাষের মধ্য দিয়ে এই উপজেলায় তুলাচাষের যাত্রা শুরু হয়েছিল, যা এই বছর ১০০ একর জমিতে তুলাচাষ হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলার রাঙ্গামাটি, বারাইপাড়া, মহদিপুর, আকিলাপাড়া, খয়েরবাড়ী এলাকায় ১০০ একর জমিতে তুলাচাষ হয়েছে, আগামী বছর এই চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। রাঙ্গামাটি এলাকার তুলাচাষি আবু সাঈদ বলেন, তিনি গত বছর ১ একর জমিতে তুলাচাষ করেছিলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় তুলাচাষ লাভজনক হওয়ায় এ বছর তিনি ৫ একর জমিতে তুলাচাষ করেছেন। একই কথা বলেন, একই এলাকার তুলাচাষি নির্মল সেন, অতুল চন্দ্র ও নজরুল ইসলাম। তারা প্রত্যেকে ৫০ শতক করে জমিতে তুলাচাষ করেছেন। মহদিপুর গ্রামের তুলাচাষি আবু বক্কর বলেন, গত বছর তিনি ১ একর জমিতে তুলাচাষ করেছিলেন, এবার তিনি ২ একর জমিতে তুলাচাষ করেছেন, একই কথা বলেন মহদিপুর গ্রামের তুলাচাষি নুর ইসলাম। তিনি এইবার ২ একর জমিতে তুলাচাষ করেছেন। এছাড়া, উপজেলার আকিলাপাড়া গ্রামের নুরে আলম এই বছর ৫ একর জমিতে তুলাচাষ করেছেন, তিনিও আগামীতে এই চাষ আরও বৃদ্ধি করবেন বলে জানিয়েছেন। তুলাচাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলে ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা কিন্তু এক বিঘা জমিতে তুলাচাষ করে ১০ থেকে ১২ মণ তুলা পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। ফুলবাড়ী তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কটন ইউনিট কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ড নামমাত্র সুদে ও সহজ শর্তে, তুলাচাষিদের কৃষিঋণ দিয়ে থাকে, আবার কৃষকের কাছ থেকে তুলা উন্নয়ন বোর্ড সরাসরি ন্যায্য মূল্যে তুলা খরিদ করে, যার ফলে তুলাচাষিরা তুলার ন্যায্য মূল্য পায়, এ জন্য কৃষকরা তুলাচাষে ঝুঁকে পড়েছে।
সংবাদ শিরোনাম