ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করেই আগাম জাতের সরিষা চাষ করছে কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩৭০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করেই চাষিরা এবার বোরো রোপনের আগে আগামজাতের সরিষা চাষ করেছে ব্যপকভাবে। এরই মধ্যে জেলার সারিয়াকান্দি ও গাবতলী উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় জমিতে সরিষার ফুলে ফুলে মাঠ হলুদ বর্ণ ধারণ করে মিষ্টি গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। বগুড়ার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ মৌসুমে জেলায় এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, যে সব এলাকায় আগামজাতের সরিষার চাষ হয়েছে সেখানে সরিষার ফুল ফুটে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে।
সাধারণভাবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, নন্দীগ্রাম ও আদমদিঘি এলাকার চাষিরা সরিষা আবাদ বেশি করে থাকে। এবছর ভাল ফলন দেয় এমন জাতের উল্লেখযোগ্য পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।

গত নভেম্বর মাসে যেসব জমিতে সরিষা রোপন করা হয়েছে , ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারী মাসের শুরুতেই ওই সব জমির ফলন ঘরে তুলবে চাষিরা। বগুড়ার গাবতলী- সারিয়াকান্দি সড়কের পাশের জমিগুলোতে এখন সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে হলুদ রঙের সমারোহ। দৃষ্টি নন্দন এই দৃশ্যে পথচারীদের জুড়িয়ে দিচ্ছে প্রাণ। গত বছর আশানুরুপ ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এবার এই দুই উপজেলায় ফসল হিসেবে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বগুড়ার কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর, আদমদীঘি উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৩শ’ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান জানান, এ উপজেলায় ১৭শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আরও ২শ’ থেকে ৩শ’ হেক্টর জমিতে চাষ হবে। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই এখন সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

গাবতলী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মন্তেজার রহমান জানান, গাবতলীতে ১১শ’ ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। এতে ১৫ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি সরিষা উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ীর কৃষকরা জানান, বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করছে তারা। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে কৃষককে পরামর্শ প্রদান ও সহায়তা করে আসছে কৃষি বিভাগ। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা ভালোই অর্থ ঘরে তুলতে সক্ষম হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে। চাষীদের মতে অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা চাষ বেশ লাভ জনক। বাড়তি ফসল হিসেবে এ অঞ্চলে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বগুড়া কৃষি বিভাগের আশা, গত বছরের চেয়েও এ বছর সরিষার ভাল ফলন হবে। সময়মত চাষাবাদ, উচ্চফলনশীল জাত ও চাষীদের মাঝে জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করেই আগাম জাতের সরিষা চাষ করছে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১২:১৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করেই চাষিরা এবার বোরো রোপনের আগে আগামজাতের সরিষা চাষ করেছে ব্যপকভাবে। এরই মধ্যে জেলার সারিয়াকান্দি ও গাবতলী উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায় জমিতে সরিষার ফুলে ফুলে মাঠ হলুদ বর্ণ ধারণ করে মিষ্টি গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। বগুড়ার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ মৌসুমে জেলায় এবার ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, যে সব এলাকায় আগামজাতের সরিষার চাষ হয়েছে সেখানে সরিষার ফুল ফুটে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে।
সাধারণভাবে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া, নন্দীগ্রাম ও আদমদিঘি এলাকার চাষিরা সরিষা আবাদ বেশি করে থাকে। এবছর ভাল ফলন দেয় এমন জাতের উল্লেখযোগ্য পরিমান জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।

গত নভেম্বর মাসে যেসব জমিতে সরিষা রোপন করা হয়েছে , ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারী মাসের শুরুতেই ওই সব জমির ফলন ঘরে তুলবে চাষিরা। বগুড়ার গাবতলী- সারিয়াকান্দি সড়কের পাশের জমিগুলোতে এখন সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে। আর মাঠজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে হলুদ রঙের সমারোহ। দৃষ্টি নন্দন এই দৃশ্যে পথচারীদের জুড়িয়ে দিচ্ছে প্রাণ। গত বছর আশানুরুপ ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় এবার এই দুই উপজেলায় ফসল হিসেবে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বগুড়ার কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর, আদমদীঘি উপজেলায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ২ হাজার ৩শ’ ১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান জানান, এ উপজেলায় ১৭শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। আরও ২শ’ থেকে ৩শ’ হেক্টর জমিতে চাষ হবে। অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় অনেকেই এখন সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়ছে।

গাবতলী উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মন্তেজার রহমান জানান, গাবতলীতে ১১শ’ ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। এতে ১৫ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি সরিষা উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।

সারিয়াকান্দির ফুলবাড়ীর কৃষকরা জানান, বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষ করছে তারা। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে কৃষককে পরামর্শ প্রদান ও সহায়তা করে আসছে কৃষি বিভাগ। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা ভালোই অর্থ ঘরে তুলতে সক্ষম হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছে। চাষীদের মতে অন্য ফসলের চেয়ে সরিষা চাষ বেশ লাভ জনক। বাড়তি ফসল হিসেবে এ অঞ্চলে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বগুড়া কৃষি বিভাগের আশা, গত বছরের চেয়েও এ বছর সরিষার ভাল ফলন হবে। সময়মত চাষাবাদ, উচ্চফলনশীল জাত ও চাষীদের মাঝে জৈব সার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।