শীতকালে পদ্মার চরে সবুজ ফসল বুনছেন কৃষক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদারীপুর শিবচর উপজেলার অনত্যম বৃহৎ ইউনিয়ন চরজানাজাত ধীরে ধীরে জনবসতি বেড়ে লোকালয়ে পরিণত হয়েছে। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই চর।

এই চর ঘিরে রয়েছে ছোট ছোট শতাধিক গ্রাম। কিছুদিন আগে বর্ষা মৌসুমে থৈ থৈ জলে নিমজ্জিত ছিল ইউনিয়নটি। প্রমত্ত পদ্মার খেয়ালিপনায় উজার হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বসতভিটা হারিয়ে চর ছেড়ে মূল ভুখণ্ডে এসে আশ্রয় নিয়েছে শত শত মানুষ।

শীত মৌসুমে পানি কমে শুকিয়ে এসেছে চরের মাঠঘাট। এখানে মাঠে মাঠে এখন কৃষকের ব্যস্ততা। বর্ষায় ঘরবাড়ি হারিয়ে চর ছেড়ে যাওয়া মানুষেরাও ছুটে এসেছে ফসলি জমিতে।

উর্বর মাটিতে ফসল ফলানোয় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। কারও নিজ জমি, আবার কেউ খাজনা করে শীতকালীন ফসল বুনছেন জমিতে। কলাই, সরিষা, মুগ, ফুলকপি, পালং শাক, লাল শাক, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, খিরা, ধনে পাতাসহ নানা রকম ফসল মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে চরের জমিতে।

কৃষকেরা জানান, কৃষিকাজ, পশুপালন আর মাছ ধরাই চরের মানুষদের জীবিকার প্রধান উৎস। চরের জমিতে পেঁয়াজ, রসুনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এরপরই আসে ধানের আবাদ। পানি সহনশীল ধানে বর্ষা মৌসুমে চরের জমি ঢাকা পড়ে যায়। এছাড়া শীতকালের প্রথম দিকে নানা ধরনের সবজি চাষ করেন এখানকার মানুষেরা। মূল জমি ছাড়াও বাড়ির আঙিনায় নানা জাতের সবজি চাষ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর