কথা বলার আগে আপনি বার বার ভেবে নিন যে কি বলতে যাচ্ছেন। আপনার ওই নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। আপনার কাছে যে জিনিসটি সহজ যুক্তির তা আপনার সঙ্গীর কাছে মনে নাও হতে পারে। তাই অনেক ক্ষেত্রেই নিজেকে সতর্ক রেখে কথা বলা উচিত । কিছু সামান্য বিষয় আপনি এড়িয়ে চললেই সম্পর্কটা অনেক মধূর হতে পারে ।
বাজে ভাবে কথা না বলা : সঙ্গীর সাথে কখনোই বাজে ভাষা ব্যবহার করা উভিত নয়। সম্পর্কে থাকলে মনোমালিন্য এবং ঝগড়া হতেই পারে, কিন্তু তাই বলে অকথ্য ভাষায় কথা বলা কখনোই উচিত নয়। এতে করে সঙ্গীর মনে যে আঘাত আপনি দেবেন তা কখনোই ফেরত আসবে না। এবং সঙ্গী ধীরে ধীরে আপনার কাছ থেকে দূরেই সরে যেতে থাকবেন।
সঙ্গীকে কথা শোনানো যখন সঙ্গী নিজের মনের কথা বলতে চান : সঙ্গীর মনের অবস্থা না বুঝেই সঙ্গীকে কথা বলে যাওয়া একেবারেই উচিত কাজ নয়। প্রথমে দেখুন সঙ্গীর মনের অবস্থা কি ধরণের, তিনি কি এখন নিজের মনের কথা শোনানোর মানুষ খুঁজছেন? যদি তাই হয় তাহলে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন এবং তার কথা মন দিয়ে শুনুন।
৩. অযথা ভুল বোঝা : সঙ্গীকে অযথা ভুল বুঝবেন না। প্রথমে বুঝে নিন সঙ্গী আসলেই কি বলতে চাচ্ছেন বা তিনি সত্যিকার অর্থেই কি এবং কেন করছেন। না বুঝেই তাকে ভুল বুঝে উলটো পাল্টা ব্যবহার করে কথা শুনিয়ে দেবেন না। এতে করে পরবর্তীতে নিজের ভুল যখন ভাঙবে তখন হয়তো সঙ্গীকে আগের মতো করে আপন করে পাবেন না।
সঙ্গীর ভুল ধরতে থাকা : সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষ কখনোই ভুল ধরেন না বরং সঙ্গীর ভুল ঢাকার চেষ্টাই করেন। এবং অনেক বড় কোনো ভুল হলেও তার মনে কষ্ট দিয়ে তাকে কিছু না বলে বরং ঠাণ্ডা মাথায় তার ভুল ধরিয়ে দেয়াই উচিত। আপনার ভুল ধরার সমস্যাটি আপনার সম্পর্কের জন্য একেবারেই ভালো নয়।
সব সময় অভিযোগ করা : ‘তুমি এটা করতে পার না, তুমি সেই রকম ন’ ইত্যাদি সুরে সবসময় অনুজগ অভিযোগ একেবারেই উচিত নয়। সঙ্গী মনে মনে ভাববেন তিনি যেমন তাকে আপনি সেভাবে মেনে নিতে পারছেন না, এবং তিনি মনে কষ্ট পেয়ে আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন।
সঙ্গীর জন্য কিছুই না করা : আপনার সঙ্গীই যদি আপনার সম্পর্কের জন্য সবকিছু করতে থাকেন তাহলে কিন্তু সম্পর্ক একেবারেই টিকে থাকবে না। আপনাকেও একটু এগিয়ে যেতে হবে। সঙ্গীর কেয়ারিং এবং ভালোবাসার বিপরীতে তার জন্যও ভালোবাসার প্রকাশ করুন।
তথ্যসুত্র-ওয়েবসাইড