হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষকদের তথ্যপ্রযুক্তিতে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পারলে তারা স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস ব্যবহার করে স্মার্ট ফার্মিংয়ের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। এতে করে কৃষির যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি দেশও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সেলিব্রেটি হলে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় দিন ‘স্মার্ট ফার্মিং, স্মার্ট ফিউচার’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে কৃষি উদোক্তারা বলেন, কৃষির আধুনিকায়নে প্রয়োজন কৃষকদের প্রশিক্ষণ। কেননা, এখন বিভিন্ন স্মার্টফোন ভিত্তিক অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করা হয়েছে। যেগুলো ব্যবহারে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষি সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার জুবায়ের রহমান তার উপস্থাপনায় জানান, সরকার ই-কৃষক নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। এখান থেকে কৃষকরা তথ্য সহায়তা পাবেন। যা কৃষি সম্পসারণে কাজ করবে। পাশাপাশি এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে একজন কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।
গ্রামীণ ইনটেলের রেহানা তার উপস্থাপনায় জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানটি কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করছে। এজন্য তারা ডিজিটাল সোশ্যাল ম্যানেজমেন্ট টুলস ধারণা উপস্থাপন করেছে। যার মাধ্যমে কৃষকরা কৃষি জমির পিএইচ, মাটির গুণাগুণ এবং জমির লবণাক্ততার পরিমাণ জানার পাশাপাশি কোন জমিতে কী ধরনের চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে তাও জানতে পারবেন।
সেমিনারে ডিরেক্টরিয়েট অব ই-এগ্রিকালচার ই-এমপাওয়ারমেন্টের প্রতিনিধিকে জানান, কৃষকরা এখন থেকে এই প্রকল্পের আওতায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবহওয়ার খবর জানতে পারবেন। এতে করে জমিতে সেচ কিংবা বীজতলা তৈরির জন্য সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। ই-এমপাওয়ারমেন্ট থেকে জিও পটেটো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যার ফলে ভালো ফলনের জন্য জিও ডাটা বেজড ডাটা সরবরাহ করা হচ্ছে।
সেমিনার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি ড. সিকান্দার আলী, বারির ডিজি ড. আবুল কালাম আজাদসহ দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।