বাংলাদেশের ফুটবল এগিয়েছে না পিছিয়েছে, এ নিয়ে বিতর্ক করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল ব্যবস্থাপনায় যে গলদ আছে, সেটা ঠিকই চোখে পড়ল অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের।
শুক্রবার স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সময় বাংলাদেশের জার্সিতে কোনো খেলোয়াড়ের নাম ছিল না। বিষয়টি অবাক করেছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ড-এর ফুটবল প্রতিবেদককে।
বাংলাদেশ দল যে জার্সি নিয়ে মাঠে নেমেছিল সেখানে কেবল জার্সি নম্বর লেখা ছিল। অথচ আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্সিতে খেলোয়াড়দের নাম লেখার প্রচলন অনেক পুরোনো। জার্সিতে নাম লেখা না থাকলে দর্শকদের পক্ষে খেলোয়াড়দের চিনতেও সমস্যা হয়।
কোনো প্রীতি ম্যাচ বা অগুরুত্বপূর্ণ কোনো ম্যাচ হলেও না হয় একটা যুক্তি পাওয়া যেত। এটি যে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বকেও ‘বিশ্বকাপ’ বলেই ধরে নেওয়া হয়। এ কারণে ৩২ দলকে নিয়ে আয়োজিত টুর্নামেন্টটিকে বলা হয় চূড়ান্ত পর্ব বা ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালস।
ফুটবলে বাকি বিশ্বের তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলো বেশ পিছিয়ে আছে। অনুন্নত প্রযুক্তি, শারীরিক ক্ষমতায় ঘাটতি আর ফুটবলে মলিন ইতিহাসকেই এর কারণ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু জার্সিতে নাম ব্যবহার করার রীতিটার জন্য তো আর বিশেষ প্রযুক্তি বা যোগ্যতার দরকার নেই।
একতরফা ম্যাচের ফল নিয়ে লিখতে গিয়ে গতকাল সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বের ১৭৩ নম্বর দলের কাছ থেকে আপনারা আর কীইবা আশা করেছিলেন? ওদের তো লাল-সবুজ জার্সিতে নাম পর্যন্ত ছিল না।
এ ব্যাপারে কোনো অফিসিয়াল ব্যবস্থা কিংবা তথ্য সাহায্যও ছিল না। ফলে দর্শকদের বোঝা দুঃসাধ্য ছিল কোন খেলোয়াড়ের কী নাম।’ সেই সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছে, ‘এটা কি বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ ছিল না?’
প্রশ্নটার উত্তর বাফুফেই ভালো জানে। আলো