হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতের টমেটো উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার চাষিরা। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়াসহ বেশি মূল্য পেতে এবার আগাম জাতের টমেটোর চাষ করেছেন তারা। গাছে গাছে থোকা থোকা ফলও ধরেছে বেশ ভালো। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই এসব টমেটো বাজারে আসবে বলে আশায় বুক বেঁধে আছেন কৃষকরা। প্রত্যাশামতো সঠিক সময়ে টমেটো তুলে লাভবান হওয়ার স্বপ্নও দেখছেন।
কৃষকরা জানান, গত দীর্ঘ বন্যা আর বৃষ্টিতে বর্ষাকালীন সবজি উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং মৌসুমের শুরুতেই বেশি মূল্য পেতে বাণিজ্যিকভাবে টমেটোর চাষে নেমেছেন।
তাদের দাবি, অন্য ফসলের তুলনায় স্বল্প সময়ে শীতকালীন টমেটোর চাষে দ্বিগুণ লাভ হয়। গত কয়েক বছরে ভাগ্য বদলও হয়েছে এ এলাকার অনেক কৃষকের। তাই টমেটোর চাষে আগ্রহ বাড়ছেই।
এখানকার উৎপাদিত টমেটো স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
কৃষি বিভাগের দাবি, গত কয়েক বছরে টমেটোর বাজার সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় চাষ বাড়ছে। এ অঞ্চলে আমন ধান ওঠার পর পরই শীতের আগাম জাতের টমেটো উৎপাদন করা যায়। স্থানীয় বাজারে প্রথম দফায়ই বেশি দাম পেয়ে বেশ লাভবান হন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, নাটোর সদর, লালপুর ও নলডাঙ্গা উপজেলায় টমেটোর বেশি চাষ হয়। চলতি রবি মৌসুমে জেলার ২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে, আরো ২৬ হেক্টর জমিতে রোপণ চলছে। গত মৌসুমে হয়েছিল ২৬০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে নলডাঙ্গা উপজেলার চেউখালি, শরকুতিয়া, বাঙ্গালখলসী ও মাধনগর এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশের মাচায় শোভা পাচ্ছে সবুজ টমেটো। চাষিরা ব্যস্ত ক্ষেত নিড়ানি ও পরিচর্যায়, বসে নেই কৃষাণিরাও। কারো কারো জমির আগাম টমেটো তোলার উপযোগী হওয়ায় বিক্রিও শুরু করে দিয়েছেন। বাজারে বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছেন তারা।
কৃষকরা জানান, বর্তমানে পাইকারি দরে টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।