ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘জয় বাংলা’ কেন জাতীয় স্লোগান জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনী ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে আজ বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রণধ্বনী ছিল ‘জয় বাংলা’। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তার স্লোগান হিসেবে এখনও এই স্লোগানটি ব্যবহার করে। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো স্লোগান ব্যবহার করে।

২০১৩ সালে যুদ্ধারপাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের গড়ে উঠা আন্দোলনের সময়ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বহুল ব্যবহার হয়েছিল। সে সময়ই কথা উঠে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনী বাদ দিয়ে কেন অন্য স্লোগান দেবে রাজনৈতিক দলগুলো।

গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। এর আগে ২০ নভেম্বর আরেকটি রিট করা হয়। সেখানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ, জাতীয় জাদুঘর স্থাপন ও দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

আজ আদেশ জারির পর আইনজীবী বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে সরকারের প্রতি রুল জারির নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী রবিবার মামলাটি আবারও কার্যতালিকায় থাকবে।

এই আইনজীবী বলেন, ‘পৃথিবীর সাতটি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। আমাদের দেশে কোনো জাতীয় স্লোগান নেই। জয় বাংলা স্লোগান আমাদের জাতীয় চেতনার স্লোগান। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর্যন্ত এই স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে পায় নাই।’

বশির আহমেদ বলেন, “আমরা আদালতকে বলেছি, ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই স্লোগন দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমরা আগামী ১৬ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করেই বিজয় দিবস পালন করতে চাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

‘জয় বাংলা’ কেন জাতীয় স্লোগান জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট

আপডেট টাইম : ০৫:২১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনী ‘জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব ও শিক্ষা সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে আজ বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহর সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রণধ্বনী ছিল ‘জয় বাংলা’। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তার স্লোগান হিসেবে এখনও এই স্লোগানটি ব্যবহার করে। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো স্লোগান ব্যবহার করে।

২০১৩ সালে যুদ্ধারপাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের গড়ে উঠা আন্দোলনের সময়ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের বহুল ব্যবহার হয়েছিল। সে সময়ই কথা উঠে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনী বাদ দিয়ে কেন অন্য স্লোগান দেবে রাজনৈতিক দলগুলো।

গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন। এর আগে ২০ নভেম্বর আরেকটি রিট করা হয়। সেখানে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ, জাতীয় জাদুঘর স্থাপন ও দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।

আজ আদেশ জারির পর আইনজীবী বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে সরকারের প্রতি রুল জারির নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী রবিবার মামলাটি আবারও কার্যতালিকায় থাকবে।

এই আইনজীবী বলেন, ‘পৃথিবীর সাতটি দেশে জাতীয় স্লোগান আছে। আমাদের দেশে কোনো জাতীয় স্লোগান নেই। জয় বাংলা স্লোগান আমাদের জাতীয় চেতনার স্লোগান। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর্যন্ত এই স্লোগানকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে পায় নাই।’

বশির আহমেদ বলেন, “আমরা আদালতকে বলেছি, ‘জয় বাংলা’ হলো জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এই স্লোগন দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমরা আগামী ১৬ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করেই বিজয় দিবস পালন করতে চাই।