হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামানোর বিষয়টিকে প্রধান্য দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী জাতীয় নির্বাচনে পরিবেশ পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে রাখতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের বিকল্প নেই মনে করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ৬টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আগামী বছর জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আরও ৫ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এগুলো হচ্ছে খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন হলেও এই নির্বাচনের ফল জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে। এবারই প্রথম সিটি করপোরেশনে দলীয়ভাবে এবং দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা চালুর পরে সিটি করপোরেশনগুলোতে এই প্রথম নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র ৬ মাস সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে ৫টি সিটি করপোরেশনেই আওয়ামী লীগের সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা পরাজিত হন। আওয়ামী লীগের এই পরাজয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তরি হয়। এটাকে কেন্দ্র করে জনপ্রিয়তা নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। সরকার ও দলের জনপ্রিয়তা হারানোর কারণেই দলীয় প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছে বলে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়। দলের মধ্যেও নানা ধরনের আলোচনা-পর্যালোচনা হয়।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত নির্বাচনে নেতিবাচক ফলের বিষয়টিকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে দলটি। গত নির্বাচনে পরাজয়ের পেছনে দলের আভ্যন্তরীণ সমস্যাকেই প্রধানত দায়ী বলে তারা মনে করেন।
আগামী নির্বাচনে এ ধরনের কোনো ফল যাতে না আসে বা ওই ধরনের কোনো পরিস্থিতিতে যাতে পড়তে না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। স্থানীয়