ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে যেসব সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে তা ফেরত নেওয়া হবে বলে সংসদকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার সংসদে এ সম্পর্কিত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করা হবে। যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে যেসব চিকিৎসক-নার্স সেবা দিয়েছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী, যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন-তারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসবেন।’
এ সময় সরকারি দলের সাংসদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, তার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নেই। অথচ সরকার অনেক অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তাদের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এবং অন্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে বর্তমানে ১৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চলতি অর্থবছরের আগস্ট পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠান থেকে দুই কোটি ৪২ লাখ টাকা আয় হয়েছে।