ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাগুনে দেখা বৈশাখে প্রেম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৩০৫ বার

ভূগভর্স্থ ফিফটি নাইনের এ্যাস্ক্যালেটর বেয়ে উপরে ওঠেই জয় ভাবে কোথায় দেখেছিলাম
এর আগে তাকে? আজ আবার দেখা।কিন্তু ক্ষনিকের। ট্রেনটি ছেড়ে দিলো ; আশ্চর্য কেনোই বা দেখা হলো তবে?

জয়ের মনটা খারাপ হয়ে গেলো।সেভেন ট্রেনে বসে সে হরেক শব্দে নিজেকে ডুবিয়ে
রাখলেও অপ্সরীকে ভুলতে পারছেনা।ট্রেনটি
থেমে আছে রেল কতর্ৃপক্ষ বিলম্ব হওয়ার কারন বলছে আর বার বার ক্ষমা চেয়ে নিচেছ!জয় ভাবছে ইস সিক্স ট্রেনটি কেনো
এমন লেট করলোনা? আমি ঐ অচেনা অনিন্দ অনন্যাকে আরেকটু দেখে নিতাম।
তাঁর সান্নিধ্যের নিবিড় আননদটুকু আরো খানিক্ষণ উপভোগ্য হয়ে ওঠতো।

প্রচন্ড শীতের দাপটে তীক্ষ্নতর চাবুকের মতো শরীরের বহিরাংশ যেনো কেটে নিয়ে
যেতে চায়। তবুও দরজার কাছ থেকে ওঠে অন্যত্র বসার বিন্দুমাত্র ইচছা হলোনা। যেনো বার বার হৃদয়ের গভীর চিত্ততল থেকে একটি আশা প্রবল হয়ে এ কথাই উত্থিত হতে লাগলো হয়তো বা ভুল করে ঐ অপরিচতা মেয়েটি সেভেন ট্রেনে এসে বসবে
তারই বিপরীথমুখী হয়ে।

জেবা টিকেট কাটতে জ্যাকসনহাইট যাবে ।ম্যানহাটন কসকোতে শপিং করতে করতে ভাবে জেবা ।বাবার কথা .!
এবার আর তাঁর
উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই।বন্ধু নোহাকে বলে জেবা।
নোহা আমি বুঝতে পারছিনা তুই কী করে একটা অপরিচিত জনকে নিজের স্বজন করে
নিবি? তা-ও কী-না বাংলাদেশী ছেলে!
জেবা বাবা মায়ের স্বপ্নতো সন্তানের পূরণ করতেই হবে।আমার বাবা মা নিশ্চয়ই অযোগ্য কোনো ছেলের কাছে আমাকে পাত্রস্থ করবেন না।

আমি পারবনা এই আমেরিকায় বাই বণর্ হয়ে
একজন বাঙালীকে জীবনের সাথে জড়াতে।
অ মাই গড! প্লীজ সেভ মি।
জেবা হাসে ।দেখাই যাকনা এই ডিজিটাল যুগে ও আমি বিয়ের পরই প্রেম করতে চাই।

জয়ও টিকেট কাটবে দেশে যাওয়ার জন্্য কিন্তু এই মূহূত্তের্ সে ডিসিশান চেইন্জ করলো দেশে সে যাবে না।ঐ মেয়টির সংগে
যদি তার আবার দেখা হয় সেই আশায়।জয়
সেভেনটি থ্রী স্ট্রীটের সোনালী ট্রাভেলস থেকে
বের হয়ে সেভেন্টি টুর দিকে মোর নিতেই জেবা সোনালী ট্রাভলসে ঢুকে।

জয়ের বাবার ফোন আসে বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো বলতেই জয়ের বাবা প্রফেসার জামান বলে ওঠেন কী বাবা তোমার আসার ডেট কনফামর্ হলো? আমাকে জানাও। আমি
জাকির ভাইকে পাকা কথা দিয়েছি। আমার
কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁরা স্বপরিবারে দেশে আসছে।

এপাশ থেকে জয় বলে, আব্বু আমার একটু
প্রবলেম হয়ে গ্যাছে তাই আর কয়টা দিন দেরী হবে।

ফোন ছেড়ে দিয়ে জয় ভাবতে থাকে কেনো এই অপরুপার সাথে দেখা হলো? হলোই যদি কথা কেনো হলো না?তাঁর দু চোখ বষর্ার ভরা নদী এখন আমাকে কেবলই ভাসিয়ে নিয়ে যাচেছ কোন অজানার ঠিকানায়।জয়ের চোখের কোনে যে দৃশ্যটি
জীবন্ত হয়ে আছে তা হলো মেয়েটির ক্ষীন স্ফিত শান্ত সুশীল হাসি। যে হাসির মাধ্যমে
তাঁর হৃদয় দুয়ার খুলে দিয়ে আমার ঘুমন্ত মনটিকে জাগিয়ে দিয়ে গেলো। এখন আমি
নিদ্রাহীন কাল কীভাবে কাটাবো?

আজ জেবার বাবা মা ভাই বোন তৈরী
হচেছ স্বপরিবারে দেশে যাওয়ার জন্য!

জয় ম্যানহাটনের খোলা চত্তরে একটা পাথরের উপর বসে ।হেরাল্ড পাকের্র রুপ পরিগ্রহ করতেই বিস্তৃত কঠিন ধাতব দীপ্তিতে ফেটে পড়া আকাশে চোখ রাখে সে।
এতো যে রোদের দ্বীপ্তি তাও গায়ে কোনো উত্তাপ তৈরী করেনা।শুধু আগাগোরা এক নীলের মিরাকল্ ।জয়ের এতো ভালো লাগছে কেনো এই পৃথিবী?তবে কী সে ফাগুনের স্পশর্ পেলো?একেই কী বলে প্রেম?মনের কোনে একটা
মেঘ ছেঁড়া কাগজের মতো হঠাৎই উড়ে এসে বসলো। আচছা ঐ মেয়েটি যদি কারো বিবাহিতা বৌ হয়তো লাভ কী হলো?
এই প্রথম জয় নিজেকে ভীষণ বোকা মনে
করলো। এবার সে উঠে দাঁড়ায়।

এয়ারপোটের্ এসে জেবার বাবা আবার প্রাক্তন বন্ধু প্রফেসর জাকির সাহেবকে কল দেন।
আমরা রওয়ানা দিয়ে দিলাম ।দোয়া করবেন।

জয়ের বাবা অস্থির হয়ে ওঠেন। ছেলেকে আবার কল করেন।
শোন বাবা তোমার ভাবি শ্বশুরের কাছে আমাকে ছোট করোনা। তাঁরা আজ রওয়ানা
দিয়েছেন।আর তুমি টিকেট কনফামর্ করলে না।তবে কী তুমি আমার অবাধ্য হবে? বলেই জয়ের বাবা ফোন কেটে দেয়।

জয় ভাবনায় পড়ে যায়।বাবার অবাধ্য কখনো সে হয়নি এখন কোথায় পাবো তাঁর ঠিকানা?

জেবাদের বাড়িতে এক প্রকার বিয়ের আনন্দ।জাকির সাহেব স্বপরিবারে ঢাকা সিটিটা ঘুরে ঘুরে দেখেছন দীঘর্ দশ বছর পর।

জয় চলে আসাতে জামান সাহেবের মনের কোনে এক স্বস্থিরতা ফিরেএসেছে।

তিনি ছেলেকে বলেন ড্রাইভারকে বলে দিচিছ তুমি একটু যমুনা ফিচার ঘুরেএসো।
কিছু কেনাকাটাও হলো আবার দেশের পরিস্থতিটাও দেখে নিলে। তবে একা কোথাও যেওনা।

জেবা ঘুরে যমুনা ফিচার শপিং মলটা দেখলো।কিছু কেনাকাটাও করলো।

স্বচছ কাঁচের এলিভটরে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জেবা।

দূর থেকে জয়ের দষ্টি পড়ে জেবার উপর।জয় ভূত দেখার মতোই চমকে উঠে এটা কীকরে সম্ভব?সেই মেয়েটি এখানে?হ্যা সেই তো!

জয় দৌড়ে কাছে যেতেই ওরা গাড়ি ছেড়ে দিলো।

আজ জয় দেখতে যাবে তাঁর হবু স্ত্রীকে কিন্তু তাঁর মন পড়ে রইলো বর বার দেখা সেই ষোড়শীর কাছে।

জয় মনে মনে ভাবে কেনো আমার এমন লাগছে?মনে হচেছ ওকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকাই বৃথা।কেনো আজ আবার তাঁর সংগে এখানে দেখা? কে এই রহস্যময়ী নারী? বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে না করলে
বাবার মান সম্নান বাঁচবেনা। কিন্তু আমি ঐ মেয়েকে না পেলে আমার এ জীবনের কোনো
দাম নেই। কাল আমি তাঁকে এই কথাটাই বুঝিয়ে বলবো।

জেবার ঘুম আসছেনা কাল তাঁরজীবনের চরম ফায়সালা। বাবার সুখের মূল্য দিতে গিয়ে তাঁর জীবনটা যদি নরকে পরিনত হয়?
ঐ ছেলে আমেরিকায় থাকে অথচ বাবা তাঁকে একটি বার দেখার প্রয়োজন বোধ করলো ন? বাবার বন্ধু প্রীতির প্রশংসা করতে হয়।

জেবাদের বাড়িতে হৈ চৈ পড়ে গেলো।আজ তাঁদের বড় মেয়ের আথর্ বলে কথা।অবশেষে
জয় ও তাঁর পরিবার কণে বাড়িতে এলো।
বেশ গুছানো পরিপাটি ঘরটি জয়ের খুব
পছন্দ হলো কিন্তু মেয়েটিকে কী করে তাঁর
মনের কথা খুলে বলবে?কতো আশায়বুক বেঁধে যে বধূ হবার স্বপ্ন দেখছে তাঁর একটি কথায়
সব তছনছ হয়ে যাবে।কিন্তু আমি -ই-বা ক করতে পারি?

জয়ের সাত পাঁচ ভাবনার ভেতর কণেকে নিয়ে এক সময় হাজির হলেন গৃহ কতর্ৃ মিসেস জাকির।
জেবা অতি ঘরোয়া স্বাভাবিক সাজেই জয়ের
মুখোমুখি বসলো।জয় তাঁর ভাঙা হৃদয় নিয়ে আকুতি ভরা চোখে একবার তাকাতেই চার
চোখের দৃষ্টি এক হতেই যা সে দেখলো তাতে সে নিবর্াক নিথর হয়ে অপলক শুধু
চেয়েই থাকলো।আবার যদি সে হারিয়ে যায়;
এই ভয়ে সে দৃষ্টিকে স্থবির করে রাখলো এক জোড়া ভ্রমর কালো রেটিনায়!

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফাগুনে দেখা বৈশাখে প্রেম

আপডেট টাইম : ১২:০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ভূগভর্স্থ ফিফটি নাইনের এ্যাস্ক্যালেটর বেয়ে উপরে ওঠেই জয় ভাবে কোথায় দেখেছিলাম
এর আগে তাকে? আজ আবার দেখা।কিন্তু ক্ষনিকের। ট্রেনটি ছেড়ে দিলো ; আশ্চর্য কেনোই বা দেখা হলো তবে?

জয়ের মনটা খারাপ হয়ে গেলো।সেভেন ট্রেনে বসে সে হরেক শব্দে নিজেকে ডুবিয়ে
রাখলেও অপ্সরীকে ভুলতে পারছেনা।ট্রেনটি
থেমে আছে রেল কতর্ৃপক্ষ বিলম্ব হওয়ার কারন বলছে আর বার বার ক্ষমা চেয়ে নিচেছ!জয় ভাবছে ইস সিক্স ট্রেনটি কেনো
এমন লেট করলোনা? আমি ঐ অচেনা অনিন্দ অনন্যাকে আরেকটু দেখে নিতাম।
তাঁর সান্নিধ্যের নিবিড় আননদটুকু আরো খানিক্ষণ উপভোগ্য হয়ে ওঠতো।

প্রচন্ড শীতের দাপটে তীক্ষ্নতর চাবুকের মতো শরীরের বহিরাংশ যেনো কেটে নিয়ে
যেতে চায়। তবুও দরজার কাছ থেকে ওঠে অন্যত্র বসার বিন্দুমাত্র ইচছা হলোনা। যেনো বার বার হৃদয়ের গভীর চিত্ততল থেকে একটি আশা প্রবল হয়ে এ কথাই উত্থিত হতে লাগলো হয়তো বা ভুল করে ঐ অপরিচতা মেয়েটি সেভেন ট্রেনে এসে বসবে
তারই বিপরীথমুখী হয়ে।

জেবা টিকেট কাটতে জ্যাকসনহাইট যাবে ।ম্যানহাটন কসকোতে শপিং করতে করতে ভাবে জেবা ।বাবার কথা .!
এবার আর তাঁর
উপেক্ষা করার কোনো উপায় নেই।বন্ধু নোহাকে বলে জেবা।
নোহা আমি বুঝতে পারছিনা তুই কী করে একটা অপরিচিত জনকে নিজের স্বজন করে
নিবি? তা-ও কী-না বাংলাদেশী ছেলে!
জেবা বাবা মায়ের স্বপ্নতো সন্তানের পূরণ করতেই হবে।আমার বাবা মা নিশ্চয়ই অযোগ্য কোনো ছেলের কাছে আমাকে পাত্রস্থ করবেন না।

আমি পারবনা এই আমেরিকায় বাই বণর্ হয়ে
একজন বাঙালীকে জীবনের সাথে জড়াতে।
অ মাই গড! প্লীজ সেভ মি।
জেবা হাসে ।দেখাই যাকনা এই ডিজিটাল যুগে ও আমি বিয়ের পরই প্রেম করতে চাই।

জয়ও টিকেট কাটবে দেশে যাওয়ার জন্্য কিন্তু এই মূহূত্তের্ সে ডিসিশান চেইন্জ করলো দেশে সে যাবে না।ঐ মেয়টির সংগে
যদি তার আবার দেখা হয় সেই আশায়।জয়
সেভেনটি থ্রী স্ট্রীটের সোনালী ট্রাভেলস থেকে
বের হয়ে সেভেন্টি টুর দিকে মোর নিতেই জেবা সোনালী ট্রাভলসে ঢুকে।

জয়ের বাবার ফোন আসে বাংলাদেশ থেকে।
হ্যালো বলতেই জয়ের বাবা প্রফেসার জামান বলে ওঠেন কী বাবা তোমার আসার ডেট কনফামর্ হলো? আমাকে জানাও। আমি
জাকির ভাইকে পাকা কথা দিয়েছি। আমার
কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁরা স্বপরিবারে দেশে আসছে।

এপাশ থেকে জয় বলে, আব্বু আমার একটু
প্রবলেম হয়ে গ্যাছে তাই আর কয়টা দিন দেরী হবে।

ফোন ছেড়ে দিয়ে জয় ভাবতে থাকে কেনো এই অপরুপার সাথে দেখা হলো? হলোই যদি কথা কেনো হলো না?তাঁর দু চোখ বষর্ার ভরা নদী এখন আমাকে কেবলই ভাসিয়ে নিয়ে যাচেছ কোন অজানার ঠিকানায়।জয়ের চোখের কোনে যে দৃশ্যটি
জীবন্ত হয়ে আছে তা হলো মেয়েটির ক্ষীন স্ফিত শান্ত সুশীল হাসি। যে হাসির মাধ্যমে
তাঁর হৃদয় দুয়ার খুলে দিয়ে আমার ঘুমন্ত মনটিকে জাগিয়ে দিয়ে গেলো। এখন আমি
নিদ্রাহীন কাল কীভাবে কাটাবো?

আজ জেবার বাবা মা ভাই বোন তৈরী
হচেছ স্বপরিবারে দেশে যাওয়ার জন্য!

জয় ম্যানহাটনের খোলা চত্তরে একটা পাথরের উপর বসে ।হেরাল্ড পাকের্র রুপ পরিগ্রহ করতেই বিস্তৃত কঠিন ধাতব দীপ্তিতে ফেটে পড়া আকাশে চোখ রাখে সে।
এতো যে রোদের দ্বীপ্তি তাও গায়ে কোনো উত্তাপ তৈরী করেনা।শুধু আগাগোরা এক নীলের মিরাকল্ ।জয়ের এতো ভালো লাগছে কেনো এই পৃথিবী?তবে কী সে ফাগুনের স্পশর্ পেলো?একেই কী বলে প্রেম?মনের কোনে একটা
মেঘ ছেঁড়া কাগজের মতো হঠাৎই উড়ে এসে বসলো। আচছা ঐ মেয়েটি যদি কারো বিবাহিতা বৌ হয়তো লাভ কী হলো?
এই প্রথম জয় নিজেকে ভীষণ বোকা মনে
করলো। এবার সে উঠে দাঁড়ায়।

এয়ারপোটের্ এসে জেবার বাবা আবার প্রাক্তন বন্ধু প্রফেসর জাকির সাহেবকে কল দেন।
আমরা রওয়ানা দিয়ে দিলাম ।দোয়া করবেন।

জয়ের বাবা অস্থির হয়ে ওঠেন। ছেলেকে আবার কল করেন।
শোন বাবা তোমার ভাবি শ্বশুরের কাছে আমাকে ছোট করোনা। তাঁরা আজ রওয়ানা
দিয়েছেন।আর তুমি টিকেট কনফামর্ করলে না।তবে কী তুমি আমার অবাধ্য হবে? বলেই জয়ের বাবা ফোন কেটে দেয়।

জয় ভাবনায় পড়ে যায়।বাবার অবাধ্য কখনো সে হয়নি এখন কোথায় পাবো তাঁর ঠিকানা?

জেবাদের বাড়িতে এক প্রকার বিয়ের আনন্দ।জাকির সাহেব স্বপরিবারে ঢাকা সিটিটা ঘুরে ঘুরে দেখেছন দীঘর্ দশ বছর পর।

জয় চলে আসাতে জামান সাহেবের মনের কোনে এক স্বস্থিরতা ফিরেএসেছে।

তিনি ছেলেকে বলেন ড্রাইভারকে বলে দিচিছ তুমি একটু যমুনা ফিচার ঘুরেএসো।
কিছু কেনাকাটাও হলো আবার দেশের পরিস্থতিটাও দেখে নিলে। তবে একা কোথাও যেওনা।

জেবা ঘুরে যমুনা ফিচার শপিং মলটা দেখলো।কিছু কেনাকাটাও করলো।

স্বচছ কাঁচের এলিভটরে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জেবা।

দূর থেকে জয়ের দষ্টি পড়ে জেবার উপর।জয় ভূত দেখার মতোই চমকে উঠে এটা কীকরে সম্ভব?সেই মেয়েটি এখানে?হ্যা সেই তো!

জয় দৌড়ে কাছে যেতেই ওরা গাড়ি ছেড়ে দিলো।

আজ জয় দেখতে যাবে তাঁর হবু স্ত্রীকে কিন্তু তাঁর মন পড়ে রইলো বর বার দেখা সেই ষোড়শীর কাছে।

জয় মনে মনে ভাবে কেনো আমার এমন লাগছে?মনে হচেছ ওকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকাই বৃথা।কেনো আজ আবার তাঁর সংগে এখানে দেখা? কে এই রহস্যময়ী নারী? বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে না করলে
বাবার মান সম্নান বাঁচবেনা। কিন্তু আমি ঐ মেয়েকে না পেলে আমার এ জীবনের কোনো
দাম নেই। কাল আমি তাঁকে এই কথাটাই বুঝিয়ে বলবো।

জেবার ঘুম আসছেনা কাল তাঁরজীবনের চরম ফায়সালা। বাবার সুখের মূল্য দিতে গিয়ে তাঁর জীবনটা যদি নরকে পরিনত হয়?
ঐ ছেলে আমেরিকায় থাকে অথচ বাবা তাঁকে একটি বার দেখার প্রয়োজন বোধ করলো ন? বাবার বন্ধু প্রীতির প্রশংসা করতে হয়।

জেবাদের বাড়িতে হৈ চৈ পড়ে গেলো।আজ তাঁদের বড় মেয়ের আথর্ বলে কথা।অবশেষে
জয় ও তাঁর পরিবার কণে বাড়িতে এলো।
বেশ গুছানো পরিপাটি ঘরটি জয়ের খুব
পছন্দ হলো কিন্তু মেয়েটিকে কী করে তাঁর
মনের কথা খুলে বলবে?কতো আশায়বুক বেঁধে যে বধূ হবার স্বপ্ন দেখছে তাঁর একটি কথায়
সব তছনছ হয়ে যাবে।কিন্তু আমি -ই-বা ক করতে পারি?

জয়ের সাত পাঁচ ভাবনার ভেতর কণেকে নিয়ে এক সময় হাজির হলেন গৃহ কতর্ৃ মিসেস জাকির।
জেবা অতি ঘরোয়া স্বাভাবিক সাজেই জয়ের
মুখোমুখি বসলো।জয় তাঁর ভাঙা হৃদয় নিয়ে আকুতি ভরা চোখে একবার তাকাতেই চার
চোখের দৃষ্টি এক হতেই যা সে দেখলো তাতে সে নিবর্াক নিথর হয়ে অপলক শুধু
চেয়েই থাকলো।আবার যদি সে হারিয়ে যায়;
এই ভয়ে সে দৃষ্টিকে স্থবির করে রাখলো এক জোড়া ভ্রমর কালো রেটিনায়!