ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে কিশোরী গর্ভপাত। এটা করতে গিয়ে অনেকে মৃত্যুকেও আলিঙ্গন করতে বাধ্য হচ্ছে। আর এর পেছনে আবেগের তাড়নায় কোন রকম সাবধানতা অবলম্বন না করেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এখন হরহামেশা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আর এ কারণেই বাড়ছে কিশোরী গর্ভপাতের হার।
সম্প্রতি ২০১৪-১৫ সালের গর্ভপাত সংক্রান্ত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৫ বছরের নিচের কিশোরীদের মধ্যে গর্ভপাতের হার ৫৬ শতাংশ বেড়েছে।
জরিপে দেখা গেছে, মুম্বাইয়ে গত বছর গর্ভপাত করানো ৩১ হাজার নারীর মধ্যে ১ হাজার ৬০০ জনেরই বয়স ১৯ বছরের নিচে।
চিকিৎসকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এভাবে গর্ভপাতের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার ফলে বোঝা যাচ্ছে, কিশোর বয়সের ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে স্কুলে বা জুনিয়র কলেজে যৌনশিক্ষা আরও ভালোভাবে পড়ানো উচিৎ।
বোম্বে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে চালানো সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে ১৫ বছরের নিচে মোট ১১১ জন মেয়ে গর্ভপাত করিয়েছিল। সেখানে ২০১৪-১৫ সালে সেই সংখ্যায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৫ তে।
সমীক্ষা থেকেই দেখা গেছে, আন্ধেরি পূর্ব এবং পশ্চিমের হাসপাতালগুলোতেই গর্ভপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৬ হাজার মেয়ে ওই অঞ্চলে গর্ভপাত করিয়েছে।
তবে গর্ভপাত বেড়ে যাওয়ার নানা মত হাজির করেছেন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা। অনেক মেয়েই শুধু কৌতূহলবশত সাবধানতা অবলম্বন না করেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ফলে তারা গর্ভবতী হয়ে পড়ছে। আবার অনেক সময় কম বয়সী মেয়েরা যৌন নিপীড়নেরও শিকার হয়ে গর্ভবতী হচ্ছে। অনেকে এর পেছনে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়কে দায়ী করছেন। তারা বলছেন, মূল্যবোধের অভাবের কারণে অনেকেই স্কুল-কলেজ জীবনেই বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এমন নানা কারণে ১৫ বছরের কমবয়সী কিশোরীদের মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। ফলে বাড়ছে গর্ভপাতের হার।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।