হাওর বার্তা ডেস্কঃ সূর্যের আলো তখনো উঠেনি। আসতেছে অন্বকারের আধার। ধিরে ধিরে শুকিয়ে আসছে হাওরে পানি। অবাধে চলছে ইট তৈরির কাজ।হাওরের মাঝে এই ইটভাটার একটি দৃশ্য দেখে মনে পড়ল শিশু শ্রমের কথা। চামড়াবন্দর এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ শুরু করে চার থেকে ছয় মাস বছরে । প্রতিদিন হাজার হাজার ইট বহনের কাজ করে হাওর এলাকার মানুষ। মজুরি পায় মাত্র ২০০ থেকে ৩০০টাকা। পেটের তাড়নায় প্রতিদিন তার মতো অন্তত কয়েকশ’ শিশুসহ শ্রমিক চামড়াবন্দর ও বিভিন্ন ইটভাটায় কাজ করছে। অথচ আইন অনুযায়ী ১২ বছরের নিচের কোনো শিশু শ্রমিককে এরকমের কাজে নেয়ার কথা নয়।
স্থানীয় সূত্র মতে, কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি ইটের ভাটা। আর সেই ভাটায় কাজ করছে ১২ বছরের নিচের কয়েকশ’ মেয়ে ও ছেলে শিশু শ্রমিক। তবে কয়েকজন ভাটা মালিকের দাবি বাবা-মায়ের সাথেই তারা ভাটায় আসে। তবে ভাটা গুলোর শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মজুরি নিয়েই সেখানে কাজ করছে।
কি কাজ করে জানতে চাইলে এই এলাকার একব্যক্তি বলে, ‘মাথায় কইরে রোইদের শুকনা ইট খোলায় তুলে। পুড়া অইলে ওগুলা আবার নিয়া সাজাইয়্যা রাখি। বড় কষ্টের কাম। অনেক সময়ে ইট মাথায় থাইক্যা পায়ে পইড়া ব্যথা পাই। কিন্তু সরদার তখন আর আমাগো দেহে না !’
এ দৃশ্য গুলো প্রায় ইটভাটার। এসব ইটভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ইট তৈরি ও ইট টানার কাজ করে থাকে এসব শ্রমিক শিশুরা। প্রত্যেক শিশু ২০ কেজি ওজনের সমান ছয়টা কাঁচা ইট মাথায় করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে।
সরজমিনে জানা যায়, যে শিশুরা ইটের ভাটায় কাজ করে, তারা আসেন গ্রামের কৃষকরা।
জাকির হোসাইন