ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক পীর হাবিবের যে স্ট্যাটাস নিয়ে ফেসবুকে ঝড়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৫
  • ৪২১ বার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার সহধর্মিনী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দেশের জনপ্রিয় সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান। সোমবার মধ্যরাতে (রবিবার দিবাগত রাত) স্ট্যাটাসটি দেয়ার পর ফেসবুকে ঝড় ওঠে।

দেশের প্রখ্যাত এ সাংবাদিকের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘ড. জাফর ইকবাল ও তার মিসেস ড. ইয়াসমিন হক সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টা শেষ করে দিচ্ছেন। ড. ইয়াসমীন হককে সমিহ না করার জন্য ভিসি বিরোধী আন্দোলন। ছাত্রলীগের হামলা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি জাফর ইকবাল ও উনার বউয়ের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও গ্রহণযোগ্য নয়। যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।

২০০০ সালের শুরুতে ভিসি ছিলেন মরহুম আদর্শ শিক্ষক প্রফেসর হাবিবুর রহমান। শাবির নামকরণ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সে সময় মরহুম ন্যাপ নেতা পীর হবিবুর রহমানের বাড়ি গেলাম। সাথে যুব ইউনিয়ন নেতা জালাল, সমর বিজয়, সাংবাদিক রেজওয়ান।

পীর হবিব বললেন, ভিসি আমার নাতিন জামাই। তাকে বলেছি, আমেরিকা ফিরত ড. জাফর ইকবাল শিক্ষিত লোক, কিন্তু তোমাকে শেষ করে দেবে। সে সময় মৌলবাদীরা ভিসি, জাফর ইকবালসহ, জাসদ নেতা লোকমান আহমদের বাসায় বোমা হামলা করেছে।

হুমায়ুন আহমেদ ভাইয়ের টানে অনশন করলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে নিরাপদে ফিরেও এলেন। জাফর ইকবাল নামকরণে এ ভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর নামও নিলেন না।

তিনি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে এক আলোচনায় বললেন, তাকে শিবির নয়, ছাত্রলীগ হত্যা করবে! কি প্রতিহিংসা মানুষটার! আমি তখন যুগান্তরের বাজার ধরাতে সরেজমিন সিলেট। এ ভার্সিটিতে নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ছাত্ররা পড়তো, সেশনজট ছিল না।

জাফর ইকবাল চীনাপন্থী লিখলে অনেকে মাইন্ড করেন। কিন্তু পরে রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস মঞ্চে তিনি বক্তৃতা করেন! বিএনপি জমানায়ও জাফর ইকবাল ক্যাম্পাস অশান্ত রাখেন- যখন ভিসি তার হাতের বাইরে।

মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান শাবিতে দু’হাতে বরাদ্দ দিয়েছেন, তাদের কৃতজ্ঞতাবোধও নাই। অনেক আগে সিলেটে যুগান্তরের এক অনুষ্ঠানে দাওয়াত করতে গেলাম জাফর ইকবালকে। সাথে ছিল রেজোয়ান। ওরে বাবা কি সিলেট বিদ্ধেষী কথা, ও চেহারা! কোন অনুষ্ঠানেই যাবেন না।

কি বই মেলা, কি ভার্সিটি সবখানে বউয়ের প্রভাব ড. জাফর ইকবালের ওপর। আল্লাহ এ ভার্সিটিকে এই দম্পতির হাত থেকে রক্ষা করো।

জাগো বাহে কোনঠে সবাই। ছাত্র ভক্তদের ব্যবহার করাই তার শক্তি।’ সূত্র: ফেসবুক স্ট্যাটাস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক পীর হাবিবের যে স্ট্যাটাস নিয়ে ফেসবুকে ঝড়

আপডেট টাইম : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৫

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার সহধর্মিনী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন দেশের জনপ্রিয় সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান। সোমবার মধ্যরাতে (রবিবার দিবাগত রাত) স্ট্যাটাসটি দেয়ার পর ফেসবুকে ঝড় ওঠে।

দেশের প্রখ্যাত এ সাংবাদিকের দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

‘ড. জাফর ইকবাল ও তার মিসেস ড. ইয়াসমিন হক সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টা শেষ করে দিচ্ছেন। ড. ইয়াসমীন হককে সমিহ না করার জন্য ভিসি বিরোধী আন্দোলন। ছাত্রলীগের হামলা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি জাফর ইকবাল ও উনার বউয়ের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও গ্রহণযোগ্য নয়। যারা হামলা করেছে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।

২০০০ সালের শুরুতে ভিসি ছিলেন মরহুম আদর্শ শিক্ষক প্রফেসর হাবিবুর রহমান। শাবির নামকরণ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে। সে সময় মরহুম ন্যাপ নেতা পীর হবিবুর রহমানের বাড়ি গেলাম। সাথে যুব ইউনিয়ন নেতা জালাল, সমর বিজয়, সাংবাদিক রেজওয়ান।

পীর হবিব বললেন, ভিসি আমার নাতিন জামাই। তাকে বলেছি, আমেরিকা ফিরত ড. জাফর ইকবাল শিক্ষিত লোক, কিন্তু তোমাকে শেষ করে দেবে। সে সময় মৌলবাদীরা ভিসি, জাফর ইকবালসহ, জাসদ নেতা লোকমান আহমদের বাসায় বোমা হামলা করেছে।

হুমায়ুন আহমেদ ভাইয়ের টানে অনশন করলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে নিরাপদে ফিরেও এলেন। জাফর ইকবাল নামকরণে এ ভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর নামও নিলেন না।

তিনি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে এক আলোচনায় বললেন, তাকে শিবির নয়, ছাত্রলীগ হত্যা করবে! কি প্রতিহিংসা মানুষটার! আমি তখন যুগান্তরের বাজার ধরাতে সরেজমিন সিলেট। এ ভার্সিটিতে নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ছাত্ররা পড়তো, সেশনজট ছিল না।

জাফর ইকবাল চীনাপন্থী লিখলে অনেকে মাইন্ড করেন। কিন্তু পরে রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেস মঞ্চে তিনি বক্তৃতা করেন! বিএনপি জমানায়ও জাফর ইকবাল ক্যাম্পাস অশান্ত রাখেন- যখন ভিসি তার হাতের বাইরে।

মরহুম অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান শাবিতে দু’হাতে বরাদ্দ দিয়েছেন, তাদের কৃতজ্ঞতাবোধও নাই। অনেক আগে সিলেটে যুগান্তরের এক অনুষ্ঠানে দাওয়াত করতে গেলাম জাফর ইকবালকে। সাথে ছিল রেজোয়ান। ওরে বাবা কি সিলেট বিদ্ধেষী কথা, ও চেহারা! কোন অনুষ্ঠানেই যাবেন না।

কি বই মেলা, কি ভার্সিটি সবখানে বউয়ের প্রভাব ড. জাফর ইকবালের ওপর। আল্লাহ এ ভার্সিটিকে এই দম্পতির হাত থেকে রক্ষা করো।

জাগো বাহে কোনঠে সবাই। ছাত্র ভক্তদের ব্যবহার করাই তার শক্তি।’ সূত্র: ফেসবুক স্ট্যাটাস