চলন্ত বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে রবিবার ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার এ চার্জশিট দাখিল করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসসহ ২৯ জনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। জনৈক উজ্জল হোসেনসহ আটজনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর রমনা থানার ভিআইপি রোডের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলসহ ১৮ দলীয় জোটের (তৎকালীন) গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সারাদেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াতের ২০-৩০ নেতাকর্মী মিছিল সহকারে এসে ‘সুপ্রভাত-৪/এ’ (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২৬৩৯) বাসে পেট্রোলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি আইল্যান্ডে উঠিয়ে দেয়। আহত হন বাসের হেলপারসহ বেশ কয়েক যাত্রী। গুরুতর আহত যাত্রীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুর রহমান নামে এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসযাত্রী এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়ার তা বাম হাত হারান। রেজাউল করিম ও এহসানুল হাসান নামে দুই বাসযাত্রীকে চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস আদালতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাসসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সফিকুল ইসলাম মাসুদ, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল।