ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগের জনসমর্থনের কোনো কমতি নেই, দলের ভেতরে সমস্যা আছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চলতি বছর আমরা অনৈক্য চাই না। আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু দলের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোকে সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।’

আজ ( ১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

তিনি বলেন, ‘আমরা এত কিছুর পরও খালেদা জিয়াকে বেগম জিয়া বলি। আর ওনারা বলেন, হাসিনা হাসিনা। এটা আমাদের কষ্ট লাগে। কারণ বর্তমানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি।’

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছুটে যাওয়ার কথা স্মরণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন ওনার (খালেদা জিয়া) ছেলে মারা গেলেন, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গেছেন ওনাকে সান্ত্বনা দিতে। কিন্তু উনি দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি এখন সংলাপের কথা বলেন। সংলাপের দরজা তো ওই দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন নিজের দরজা বন্ধ করে। কিন্তু পক্ষান্তরে তারা সংলাপের কথা বলে।’

তিনি বলেন, বিএনপি জানে শেখ হাসিনা বা সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও তাঁরা ব্ল্যাকমেইলিং বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এখানে তাঁরা কেন ভনিতা করেন ? ইচ্ছা করেই তাঁরা ভনিতা করছেন।

‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, স্বাধীন হয়- সেই ব্যাপারে সহায়তা করবে শুধু নির্বাচনকালীন সরকার। কোনো মেজর কাজ করবে না ওই সময়। সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে কোনো কিছু থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনও থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসময় তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন, আবার বলেন সহায়ক সরকার। তাঁরা কার কাছে এই দাবি জানান ? তাঁরা ইসিকে বলেন সহায়ক সরকারের কথা। ইসি এখানে কী করবে ? পরে আবার বলেন, ইসি নাকি সরকারকে বোঝাবে। যেনতেন প্রকারে তাঁদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। তা না হলে তাঁরা শান্তি পাবেন না।

নবম ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে আগামী সপ্তাহে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেবেন। আগামীকাল তথ্যমন্ত্রী মালিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাও একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকেন। নিজেদের মধ্যে ঐক্য থাকলে দাবি আদায়ে সহায়ক হবে। আর দুর্বলতা থাকলে অন্য কেউ আঘাত করতে পারবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আ.লীগের জনসমর্থনের কোনো কমতি নেই, দলের ভেতরে সমস্যা আছে

আপডেট টাইম : ০৩:৫৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চলতি বছর আমরা অনৈক্য চাই না। আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু দলের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে। সেগুলোকে সমাধান করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।’

আজ ( ১৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া আরো বক্তব্য দেন দৈনিক সমকালের সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

তিনি বলেন, ‘আমরা এত কিছুর পরও খালেদা জিয়াকে বেগম জিয়া বলি। আর ওনারা বলেন, হাসিনা হাসিনা। এটা আমাদের কষ্ট লাগে। কারণ বর্তমানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি।’

বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছুটে যাওয়ার কথা স্মরণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যখন ওনার (খালেদা জিয়া) ছেলে মারা গেলেন, প্রধানমন্ত্রী ছুটে গেছেন ওনাকে সান্ত্বনা দিতে। কিন্তু উনি দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি এখন সংলাপের কথা বলেন। সংলাপের দরজা তো ওই দিনই বন্ধ করে দিয়েছেন নিজের দরজা বন্ধ করে। কিন্তু পক্ষান্তরে তারা সংলাপের কথা বলে।’

তিনি বলেন, বিএনপি জানে শেখ হাসিনা বা সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও তাঁরা ব্ল্যাকমেইলিং বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এখানে তাঁরা কেন ভনিতা করেন ? ইচ্ছা করেই তাঁরা ভনিতা করছেন।

‘অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই নির্বাচন হবে। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়, স্বাধীন হয়- সেই ব্যাপারে সহায়তা করবে শুধু নির্বাচনকালীন সরকার। কোনো মেজর কাজ করবে না ওই সময়। সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের অধীনে কোনো কিছু থাকবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনও থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে’, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একসময় তাঁরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলেন, আবার বলেন সহায়ক সরকার। তাঁরা কার কাছে এই দাবি জানান ? তাঁরা ইসিকে বলেন সহায়ক সরকারের কথা। ইসি এখানে কী করবে ? পরে আবার বলেন, ইসি নাকি সরকারকে বোঝাবে। যেনতেন প্রকারে তাঁদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। তা না হলে তাঁরা শান্তি পাবেন না।

নবম ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে আগামী সপ্তাহে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নেবেন। আগামীকাল তথ্যমন্ত্রী মালিক ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।’

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাও একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ থাকেন। নিজেদের মধ্যে ঐক্য থাকলে দাবি আদায়ে সহায়ক হবে। আর দুর্বলতা থাকলে অন্য কেউ আঘাত করতে পারবে।