হাওর বার্তা ডেস্কঃ চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি মৌসুমে ব্যাপকহারে ভুট্টার আবাদ শুরু হয়েছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ব্যাপকহারে ভুট্টাচাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে চাষিরা। বিগত বছরগুলোতে ভুট্টাচাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ আবাদ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঠে মাঠে ভুট্টা লাগানো এবং চারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে এখন চাষিরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভুট্টাচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯ হাজার ১৭৩ হেক্টর। এর মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১২ হাজার ০৩ হেক্টর, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৪ হাজার ৯২০ হেক্টর, জীবননগরে ৭ হাজার ২শ হেক্টর ও জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলায় ১৫ হাজার ৫০ হেক্টর জমি। বাজারে পাওনিয়ার-৯২,৫৫,৯৬, শাহারা- ৬৬০৮,৭২৮১, কাবেরি রোবস্ট জাম্বু-৫০,৬০ ব্রাকের উত্তরণ সুপার-১০ভি ও ২০সহ বিভিন্ন জাতের ভুট্টার বীজ পাওয়া গেলেও চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার পাওনিয়ার-৯২ ও কাবেরি-৫০ জাতের ভুট্টার আবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে।
গত মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার জেলার ৪ উপজেলায় ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৮ হাজার ৪৩০ হেক্টর, সেখানে অর্জিত হয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে প্রায় সাড়ে ৫শ হেক্টর বেশি। উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের শহিদুল, খাইরুল, আতিয়ারসহ বেশ কয়েকজন ভুট্টাচাষি জানালেন, আমরা প্রতি বছর ভুট্টাচাষ করে থাকি। গত বছর ভুট্টা ওঠার সাথে সাথে ড্যাপ (আধা শুকনা) ভুট্টা ভালো দামে বিক্রি করেছিলাম। তাতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভ হয়েছিল। তবে অনেক সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজারদর কমিয়ে থাকে। তাতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা চেপে যায় চাষিদের ঘাড়ে। বর্তমানে এলাকায় ভুট্টার আবাদ বেশি, তাই সরকারিভাবে ভুট্টার বাজারদর বেঁধে দিলে চাষিরা উপকৃত হবে।
বিগত বছরগুলোয় অন্যান্য ফসলের আবাদে লোকসান হওয়ার কারণে এলাকার চাষিরা কয়েক বছর থেকে ব্যাপকহারে ভুট্টা আবাদে ঝুঁকে পড়েছে। ভুট্টাচাষে সময় এবং খরচ কম লাগে এবং অন্যান্য ফসলের তুলনায় ভুট্টায় ফলনও বেশি হয়। ফলন ও দাম ভালো পেলে গতবারের মতো এবারও চাষিদের মুখে হাসি ফুটবে এমটাই জানিয়েছেন ভুট্টাচাষিরা।