ঢাকা ১১:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উচ্চমূল্যের ফসলের আবাদ বৃদ্ধি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৫৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত ৪ বছরে উচ্চমূল্যের ফসলের আবাদ বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে রয়েছে ভুট্টা, আউশ, আমন ধান, ফুল, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ, কলা, আম ও পেঁপের আবাদ।

এতে এই জেলার কৃষিতে নীরব বিপ্লব ঘটছে বলে মনে করছেন সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। বর্তমান ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৩শ মেট্টিকটন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার মেট্টিক টন-এ। যা থেকে আয় হয়েছে ৫২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সদর উপজেলায় ৬শ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল আউশ ধান। চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ২২শ হেক্টর জমি।

এছাড়াও গত ৪ বছরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেড়েছে ফুল, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ, কলা, আম ও পেঁপের আবাদ। এতে আয়বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে ওসব এলাকার কৃষকদের।

সদর উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের কৃষক আতর আলী জানান, বর্তমান সদর উপজেলার কৃষি বিভাগ নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। যে কারণে পুর্বের থেকে বেশি জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতে পারছেন তিনি।

কৃষক আতর আলী বলেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামানের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় তিনি বর্তমানে ১০ বিঘা জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করছেন। এতে তিনি ব্যবহার করছেন জৈব সার ও শতভাগ জমিতে লাইন, লোগো ও পার্চিং। এতে উৎপাদন খরচ হয়েছে কম, সেই সাথে বেড়েছে ফলন। আউশে ফলন ভালো হওয়ায় আমন মৌসুমে তিনি ওই একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এতে ভালো ফলন হওয়ার আশা তার।

মধুহাটির কৃষক রমজান জানান, গত ২ বছর আগেও তিনি মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছিলেন। কিন্তু সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি বর্তমানে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করছেন। ফলন বেশি পাওয়ায় খুশি তিনি। আগামীতে আরো জমিতে ভুট্টার আবাদ করবেন বলে আশাব্যক্ত করেন।

গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিতা বলেন, ২০১৩ সালে ড. খান মো. মনিরুজ্জামান যোগদান করার পর থেকে এক মাঠ থেকে অন্য মাঠে ছুটে কৃষকের মাঝে নতুন নতুন প্রযুক্তির সেবা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ধান, ভুট্টা, সরিষা, ফুল, তিল ও শাক-সবজি বেশি উৎপাদন হচ্ছে। এ ধারবাহিকতা অব্যাহত থাকলে কৃষিতে ঝিনাইদহ তথা বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের জন্য আমার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। কৃষিবান্ধব সরকারের ভিশন-২১ বাস্তবায়নের জন্য উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনে পরিবেশের স্বাস্থ্য সমুন্নত রেখে নতুন নতুন টেকসই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি কৃষিবান্ধব সরকারের ভিশন-২১ বাস্তবায়নে সদর উপজেলা কৃষককুল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উচ্চমূল্যের ফসলের আবাদ বৃদ্ধি

আপডেট টাইম : ১১:২০:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় গত ৪ বছরে উচ্চমূল্যের ফসলের আবাদ বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে রয়েছে ভুট্টা, আউশ, আমন ধান, ফুল, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ, কলা, আম ও পেঁপের আবাদ।

এতে এই জেলার কৃষিতে নীরব বিপ্লব ঘটছে বলে মনে করছেন সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।

সদর উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সদর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। বর্তমান ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫শ হেক্টর জমি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৩শ মেট্টিকটন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার মেট্টিক টন-এ। যা থেকে আয় হয়েছে ৫২ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সদর উপজেলায় ৬শ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল আউশ ধান। চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে ২২শ হেক্টর জমি।

এছাড়াও গত ৪ বছরে সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বেড়েছে ফুল, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ, কলা, আম ও পেঁপের আবাদ। এতে আয়বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে ওসব এলাকার কৃষকদের।

সদর উপজেলার সাধুহাটি গ্রামের কৃষক আতর আলী জানান, বর্তমান সদর উপজেলার কৃষি বিভাগ নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে। যে কারণে পুর্বের থেকে বেশি জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করতে পারছেন তিনি।

কৃষক আতর আলী বলেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামানের প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় তিনি বর্তমানে ১০ বিঘা জমিতে ধানসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করছেন। এতে তিনি ব্যবহার করছেন জৈব সার ও শতভাগ জমিতে লাইন, লোগো ও পার্চিং। এতে উৎপাদন খরচ হয়েছে কম, সেই সাথে বেড়েছে ফলন। আউশে ফলন ভালো হওয়ায় আমন মৌসুমে তিনি ওই একই পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এতে ভালো ফলন হওয়ার আশা তার।

মধুহাটির কৃষক রমজান জানান, গত ২ বছর আগেও তিনি মাত্র ১০ কাঠা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছিলেন। কিন্তু সদর উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে তিনি বর্তমানে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করছেন। ফলন বেশি পাওয়ায় খুশি তিনি। আগামীতে আরো জমিতে ভুট্টার আবাদ করবেন বলে আশাব্যক্ত করেন।

গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মালিতা বলেন, ২০১৩ সালে ড. খান মো. মনিরুজ্জামান যোগদান করার পর থেকে এক মাঠ থেকে অন্য মাঠে ছুটে কৃষকের মাঝে নতুন নতুন প্রযুক্তির সেবা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে ধান, ভুট্টা, সরিষা, ফুল, তিল ও শাক-সবজি বেশি উৎপাদন হচ্ছে। এ ধারবাহিকতা অব্যাহত থাকলে কৃষিতে ঝিনাইদহ তথা বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. খান মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কৃষকদের উন্নয়নের জন্য আমার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছি। কৃষিবান্ধব সরকারের ভিশন-২১ বাস্তবায়নের জন্য উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনে পরিবেশের স্বাস্থ্য সমুন্নত রেখে নতুন নতুন টেকসই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি কৃষিবান্ধব সরকারের ভিশন-২১ বাস্তবায়নে সদর উপজেলা কৃষককুল উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।