হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবৈধভাবে নিবন্ধিত সিম আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অস্থির করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, আগামী সিটি কর্পোরেশন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীরা এসকল সিম ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। যদি এমন হয় তখন বিটিআরসি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সময় থাকতে অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অবৈধ সিম বন্ধ ও বিক্রি করা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন মহিউদ্দীন আহমেদ।
তিনি বলেন, শুরু থেকে এনআইডির মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু থাকলেও অপারেটর তা ঠিক ভাবে প্রতিপালন না করায় অবৈধ সিম দ্বারা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তাই সরকার ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করলে সাধারণ জনগণ ভয়ে এ প্রযুক্তি অবলম্বন করলেও অপারেটর ও তাদের ডিলার, প্রতিনিধি ও রিটেইলাররা এ পদ্ধতির দুর্বলতা বুঝে ফেলায় এখানেও জালিয়াতির মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
তিনি বলেন, একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধনকৃত সিম অন্যজন ব্যবহার করে। যদিও এ ধরনের অপরাধ করলে ৫০ ডলার জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু প্রয়োগ নেই। এ ধরনের জালজালিয়াতির তথ্য আমরাও তুলে ধরেছি। গণমাধ্যম ও তাদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে রিপোর্ট লিখেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
মহিউদ্দিন আরও বলেন, এবার সবার চোখে পড়লো রোহিঙ্গাদের মাঝে সিম বিক্রি করাতে। আমরা গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে মানববন্ধন করেছিলাম। গতকাল মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের মাঝে সিম বিক্রির সময় ৬ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো এটাতো ইয়াবা নয় যে যার কোনো মালিক নেই। এটাতো নির্দিষ্ট অপারেটরের, তাদের কি হবে ? এই সিম ব্যবহার করে রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ডেকে আনা হচ্ছে। তার দায় কে নেবে। ফোর-জি চালু ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সিম বিতরণের হিড়িক পড়েছে। আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে অবৈধ কার্যক্রম। একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে নাকি ১৮টি সিম নিবন্ধন করা হচ্ছে। এ ধরনের তথ্য খোদ অপারেটরদের প্রতিনিধি ও রিটেইলারদের কাছে থেকে পাওয়া।