হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের আলোচিত সাংবাদিক হামিদ মিরের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হয়েছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার পাকিস্তান পুলিশ মামলাটি দায়ের করেন। ২০১০ সালে ইসলামাবাদে নিজ বাড়ি থেকে অপহৃত হওয়া খালিদ খাজার স্ত্রী শামামা মালিকের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দিন আগে হামিদ মিরসহ ওই অপহরণে সন্দেহভাজন জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন আদালত।
শামামা মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানী ইসলামাবাদের রমনা থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই অপহরণের জন্য হামিদ মির ও উসমান পাঞ্জাবির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাদের দুজনের ভাড়া করা গুণ্ডারা খালিদ খাজাকে অপহরণ করে।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, অপহরণের পর খালিদ খাজাকে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল কারাম কোটে তার বুলেটবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। তার মরদেহ ইসলামাবাদে আনা হয় কিন্তু কোনো ময়দা তদন্ত করা হয়নি। অভিযোগকারী আরো বলেছেন, ‘এ ঘটনায় আমার ছেলে শালিমার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করে কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমার ছেলের কথা শোনেনি পুলিশ।’
অভিযোগে শামামা মালিক বলেছেন, লাল মসজিদে অভিযান চালানো নিয়ে তার প্রয়াত স্বামী ও হামিদ মিরের মধ্যে মতবিরোধ ছিল। যে কারণে তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে হামিদ মির ও উসমান পাঞ্জাবির কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড শালিমার পুলিশ স্টেশনে দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডন নিউজকে হামিদ মির বলেছেন, তাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করা হয়েছে মনে করেন তিনি। তাকে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ না দিয়েই আদালত মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।