হাওর বার্তা ডেস্কঃ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবেই বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। আওয়ামী লীগ এটা ঠেকাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেন, আর এই নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা করতে বাধ্য হবে সরকার। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা, মিথ্যা মামলায় হয়রানি এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফোরাম নামের বিএনপিপন্থি একটি সংগঠন।
মওদুদ বলেন, ‘২০১৮ সালের নিবাচর্নে বিএনপি যাবে, পারলে আওয়ামী লীগ প্রতিহিত করুক। বিএনপি আগামী নিবার্চন করবে, এবং ব্যাপক ভোটে বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল ক্ষমতায় আসবে।’
‘আওয়ামী লীগ সুষ্ঠ নিবার্চনকে ভয় পায়, কারন তারা জানে সুষ্ঠ নিবাচর্ন করলে আওয়ামী লীগ ব্যাপক ভোটে হারবে।’
নেতাকর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং সরকার সমঝোতা করতে বাধ্য হবে। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। তবে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, তখন দেখব তারা সমঝোতা করে কি করে না।’
নির্বাচনকালীর সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় বিএনপি ও তার সমমনারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। তবে নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয় তারা। আর এই অবস্থায় আগামী নির্বাচনে কী হবে, সে নিয়ে আলোচনা আছে।
মওদুদ বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে সরকারকে সমঝোতা করতে বাধ্য করা হবে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির সাথে সমঝোতা ছাড়া সরকার জোর করে আরেকটা নির্বাচন করার চেষ্টা করলে সেই একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নিবার্চন আর বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলেও দাবি করেন মওদুদ। বলেন, এর মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের দল।
‘হামলা করে আমাদের নেত্রীর অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করা যাবে না। সামনের দিনে খালেদা জিয়া আরও গাড়িবহরে যাবেন, আমরা যাব, দেখি কত বহরে হামলা করতে পারেন।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাছের রহমতুল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।