ঢাকা ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ঝাঁজ বেড়েছে আদার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। চাল, কাঁচামরিচ, সবজিতে আগুনের মতো দাম।

বেশ কিছু দিন ধরেই একটানা বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। এবার পিয়াজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আদার ঝাঁজ।

শুক্রবার রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পিয়াজের কেজি এক মাসে দ্বিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার উপরে। আর গত সপ্তাহের তুলনায় আদার কেজি মানভেদে ১৫-২৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা। এছাড়া মাসের ভিত্তিতে আদার কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দর হিসেবে, বর্তমানে কেজিপ্রতি আদা ১০০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১০০-১৫০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে আদা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আর গত এক বছরের ব্যবধানে আদার দাম ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।

গত বছর অক্টোবরে আদার কেজি ছিল ৬০-১১০ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে আদার চাহিদা প্রায় তিন লাখ টন। বছরে গড়ে এক লাখ টন আদা আমদানি করতে হয় (চাহিদার ২৭ শতাংশ)। আমদানি করা আদার ৫০ শতাংশ ভারত, ৩০ শতাংশ চীন আর ২০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে। এ আমদানিনির্ভরতাই আদার দাম বাড়ানোর একটি বড় কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে দেশে বছরের পিয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ১৬-১৭ লাখ টন। সে হিসাবে বছরে ঘাটতি থাকে ৮-৯ লাখ টন। এই ঘাটতি পূরণে দেশের বাইরে থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়।

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় আদার উৎপাদন কম। তাই চাহিদা মেটাতে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আদা আমদানি করতে হয়।

অন্য দেশের প্রতি নির্ভরতার কারণেই আদার দাম বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, পাইকারি পর্যায়ে দেশে উৎপাদিত আদা মানভেদে কেজিপ্রতি ১৩০-১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুই সপ্তাহ আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় আদা প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা। আর ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা প্রতি কেজি আদা ১০০ টাকার নিচে কেনাবেচা হচ্ছে।

শ্যামবাজারের আরেক ব্যবসায়ী জানান, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। বৃষ্টির কারণে আদার ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বাজারে আদার সংকট রয়েছে। এছাড়া ভারতে এবার দুই দফা বন্যায় আদার উৎপাদন মার খেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এবার ঝাঁজ বেড়েছে আদার

আপডেট টাইম : ১২:২৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। চাল, কাঁচামরিচ, সবজিতে আগুনের মতো দাম।

বেশ কিছু দিন ধরেই একটানা বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। এবার পিয়াজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আদার ঝাঁজ।

শুক্রবার রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পিয়াজের কেজি এক মাসে দ্বিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার উপরে। আর গত সপ্তাহের তুলনায় আদার কেজি মানভেদে ১৫-২৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ টাকা। এছাড়া মাসের ভিত্তিতে আদার কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দর হিসেবে, বর্তমানে কেজিপ্রতি আদা ১০০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১০০-১৫০ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে আদা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আর গত এক বছরের ব্যবধানে আদার দাম ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।

গত বছর অক্টোবরে আদার কেজি ছিল ৬০-১১০ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে আদার চাহিদা প্রায় তিন লাখ টন। বছরে গড়ে এক লাখ টন আদা আমদানি করতে হয় (চাহিদার ২৭ শতাংশ)। আমদানি করা আদার ৫০ শতাংশ ভারত, ৩০ শতাংশ চীন আর ২০ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে। এ আমদানিনির্ভরতাই আদার দাম বাড়ানোর একটি বড় কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে দেশে বছরের পিয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ১৬-১৭ লাখ টন। সে হিসাবে বছরে ঘাটতি থাকে ৮-৯ লাখ টন। এই ঘাটতি পূরণে দেশের বাইরে থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটানো হয়।

রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে চাহিদার তুলনায় আদার উৎপাদন কম। তাই চাহিদা মেটাতে ভারত, চীন ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আদা আমদানি করতে হয়।

অন্য দেশের প্রতি নির্ভরতার কারণেই আদার দাম বেড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাজার ঘুরে আরও দেখা যায়, পাইকারি পর্যায়ে দেশে উৎপাদিত আদা মানভেদে কেজিপ্রতি ১৩০-১৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। দুই সপ্তাহ আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সে হিসাবে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় আদা প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা। আর ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা প্রতি কেজি আদা ১০০ টাকার নিচে কেনাবেচা হচ্ছে।

শ্যামবাজারের আরেক ব্যবসায়ী জানান, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। বৃষ্টির কারণে আদার ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বাজারে আদার সংকট রয়েছে। এছাড়া ভারতে এবার দুই দফা বন্যায় আদার উৎপাদন মার খেয়েছে।