ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের দাপট জাপার দুর্গে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাপা ও বিএনপি’র প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে এ আসনের দুই উপজেলা সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ীতে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে পোস্টার-ফেস্টুন ও প্লাকার্ডে জানান দিচ্ছেন তাদের আগমন বার্তা। গাইবান্ধা-৩ আসনটি।
আওয়ামী লীগের ধরে রাখা, জাতীয় পার্টির পুনরুদ্ধার এবং বিএনপির জন্য জয় ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রার্থীদের উপর। জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে খ্যাত এ আসন। সাবেক মন্ত্রী ও জাপা নেতা ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী এ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পর পর ৬ বার নির্বাচিত হন। কিন্তু রাব্বী চৌধুরী জাপা (এরশাদ) ছেড়ে জাপা (কাজী জাফর) দলে যোগদান করেন এবং গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। সে সময় জাপা (এরশাদ) থেকে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী মনোনয়ন পেলেও মহাজোটের কারণে এবং দলীয় সিদ্ধান্তে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফলে এ আসনটি জাপা’র দুর্গ হলেও হাতছাড়া হয়ে যায়। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইউনুস আলী সরকার নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার, সামসুজ্জোহা প্রামাণিক রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার খান বিপ্লব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমএ ওয়াহেদ মিয়া, বর্তমান কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হক, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন সরকার। এছাড়াও ডা. শাহ মো. ইয়াকুবুল আজাদ, ফিরোজ কবির সুমন, নুরুন্নবী প্রধান সবুজ, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও খন্দকার তামান্নার নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন দলের প্রেসিডেন্ট আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি গত ১৪ই জুন পলাশবাড়ীর শিল্পী ভোজনালয়ে দলীয় ইফতার মাহফিলে ও সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিংয়ে  ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীর নাম দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে জাপার আরেক নেতা ও জেলা জাতীয় পার্টির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল হক সাচ্ছা মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাপা (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী এ নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট তথা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ পেলে নির্বাচন করতে পারি। বিএনপি থেকে- গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তিনি ইতিমধ্যে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যত্রমকে গতিশীল করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তবে পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম সরকারের নামও শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।
অপরদিকে ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি ও জামায়াত নেতা পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আওয়ামী লীগের দাপট জাপার দুর্গে

আপডেট টাইম : ১০:৩৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জাপা ও বিএনপি’র প্রার্থীদের পদচারণায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে এ আসনের দুই উপজেলা সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ীতে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে পোস্টার-ফেস্টুন ও প্লাকার্ডে জানান দিচ্ছেন তাদের আগমন বার্তা। গাইবান্ধা-৩ আসনটি।
আওয়ামী লীগের ধরে রাখা, জাতীয় পার্টির পুনরুদ্ধার এবং বিএনপির জন্য জয় ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে প্রার্থীদের উপর। জাতীয় পার্টির দুর্গ বলে খ্যাত এ আসন। সাবেক মন্ত্রী ও জাপা নেতা ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী এ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পর পর ৬ বার নির্বাচিত হন। কিন্তু রাব্বী চৌধুরী জাপা (এরশাদ) ছেড়ে জাপা (কাজী জাফর) দলে যোগদান করেন এবং গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। সে সময় জাপা (এরশাদ) থেকে ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী মনোনয়ন পেলেও মহাজোটের কারণে এবং দলীয় সিদ্ধান্তে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফলে এ আসনটি জাপা’র দুর্গ হলেও হাতছাড়া হয়ে যায়। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ইউনুস আলী সরকার নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতি, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ জাকারিয়া খন্দকার, সামসুজ্জোহা প্রামাণিক রাঙ্গা, সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার খান বিপ্লব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এমএ ওয়াহেদ মিয়া, বর্তমান কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হক, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ তোফাজ্জল হোসেন সরকার। এছাড়াও ডা. শাহ মো. ইয়াকুবুল আজাদ, ফিরোজ কবির সুমন, নুরুন্নবী প্রধান সবুজ, অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ও খন্দকার তামান্নার নাম প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীর মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন দলের প্রেসিডেন্ট আলহাজ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি গত ১৪ই জুন পলাশবাড়ীর শিল্পী ভোজনালয়ে দলীয় ইফতার মাহফিলে ও সাংবাদিকদের দেয়া ব্রিফিংয়ে  ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পীর নাম দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। তবে জাপার আরেক নেতা ও জেলা জাতীয় পার্টির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল হক সাচ্ছা মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাপা (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী এ নির্বাচনে অংশ নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট তথা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশ পেলে নির্বাচন করতে পারি। বিএনপি থেকে- গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ও শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত। তিনি ইতিমধ্যে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যত্রমকে গতিশীল করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। ফলে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তবে পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম সরকারের নামও শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।
অপরদিকে ১৪ দলীয় জোট থেকে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি ও জামায়াত নেতা পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা নজরুল ইসলাম লেবু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচন করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।