হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বেশি দিন বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া কঠিন হবে। তাদের ফিরিয়ে নিতে জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হবে।’
সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার প্রথম থেকে তৎপরতা চালায়নি।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে হবে। এজন্য দরকার জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা।’
মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘মানবতার স্বার্থে আপনাদের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তাসহ সকল নাগরিক অধিকার দিন। বর্ষা গেল, সামনে শীত আসছে। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
রোহিঙ্গাদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণকার্য পরিচালনা করার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
এর আগে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়া উখিয়ার ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌছেন। পরে তিনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
খালেদা জিয়া উখিয়ার ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ শেষে সেখান থেকে তিনি যাবেন হাকিমপাড়া ক্যাম্পে। এরপর বালুখালী-১ ও ২ নম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করে তিনি কক্সবাজার ফিরে আসবেন।
এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান জানান, দলীয় নেত্রী প্রায় ৭০ লাখ টাকার ৪৫ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ১১০ টন চাল, পাঁচ হাজার শিশু ও পাঁচ হাজার অন্তঃসত্ত্বা মায়ের জন্য সুষম খাদ্য। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি প্রতীকী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন। অবশিষ্ট ত্রাণ ক্যাম্পে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবেন।
খালেদা জিয়া রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজার সার্কিট হাউসে এসে পৌঁছান। সার্কিট হাউসে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্নাসহ জেলার শীর্ষ নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান।
শনিবার সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা হওয়ার পর চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বিকেলে ফেনীতে হামলার মুখে পড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। একদল যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে গণমাধ্যমকর্মীদের গাড়িসহ বহরের অন্তত ৩০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে রয়েছেন।