ঢাকা ০৩:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেবার আরেক নাম কুর্মিটোলা হাসপাতাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৫
  • ৪৫৮ বার

‘আশ্চর্য ব্যাপার হলো এখানে ভর্তি হওয়ার পর কোন ওষুধ কিনতে হয়নি। সব ওষুধই দেয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল, এখনও বাংলাদেশে এমন হাসপাতাল আছে?’ শরীয়তপুরের মাহফুজা বেগম তার মা ৭৫ বছর বয়সের হাসিনা বেগমকে নিয়ে এ হাসপাতালে এসেছেন। মাহফুজা প্রথমে তার মাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সিট না থাকায় বিএসএমএমইউতে পাঠান ডাক্তাররা। সেখানেও সিট না থাকায় কর্তৃপক্ষ রেফার করেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এখানে পাঠানোয় মাহফুজার মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এখন মাহফুজা হাসপাতালের সেবা পেয়ে মহাখুশি। বলেন, এখানে না এলে বুঝতেই পারতাম না এমন হাসপাতালও দেশে রয়েছে। এখানে সিট তো পেয়েছেনই, পাশের অনেক সিটও খালি।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে এসেছেন সিদ্দিকুর রহমান (৭৫)। সঙ্গে তার ছেলে। তিনি বলেন, আমাদের এক আত্মীয় এ হাসপাতালে চাকরি করেন। তার কাছে জেনেছি এখানে ভাল সেবা দেয়া হয়। তাই বাবাকে নিয়ে এসেছি। এখানে ডাক্তার, নার্স সবাই হাসিমুখে রোগীদের বরণ করে নেয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার রয়েছেন ১০৬ জন। এর মধ্যে ২৭ জন কনসালট্যান্ট। কর্মচারী ৯৬৬ জন। এখানে প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগী আসে দুই থেকে আড়াই হাজার। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের চেয়ে এখানে সুযোগ সুবিধা বেশি। খরচও একেবারে নামে মাত্র। চিকিৎসা নিতে এসেছেন সুনামগঞ্জের মো. আবুল হোসেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদিতে থাকেন। পেশায় মাইক্রোবাস চালক। তিনি বলেন, এখানে ভর্তি হতে দুটি টিকিট কাটতে হয়। প্রথমে ১০ টাকার টিকিট কেটে ইমার্জেন্সি বিভাগে গেলে সেখানে ১৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এছাড়া আর কোন খরচ নেই। যদি কোন পরীক্ষা দেয় তখন কিছু খরচ হয়। এখানে প্রায় সব পরীক্ষা করানো হয়। এজন্য খরচ অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম।
সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর অভাবে অনেক বেড খালি পড়ে আছে। বেশির ভাগ মানুষ এই হাসপাতাল ও সেবা সম্পর্কে জানেন না। যে কারণে এখানে চিকিৎসা নিতেও আসেন না।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার (এসি) সাদ্দাম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মোট ওয়ার্ড রয়েছে ৭টি। তার মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ড দুটি। বাকিগুলো মহিলা, শিশু, সার্জারি ও বার্ন ইউনিট। এসব ওয়ার্ডে থাকতে কোন টাকা লাগে না। ভর্তি হলেই থাকা যায়। এছাড়া হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে স্টাফ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত সিট রয়েছে। নারী-পুরুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে পুরুষ ওয়ার্ডে কোন মহিলা থাকা নিষেধ। একইভাবে নারী ওয়ার্ডে কোন পুরুষ থাকাও নিষেধ। ওয়ার্ডগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি ওয়ার্ডের যে সংরক্ষিত বেড রয়েছে তাতে রোগী রয়েছে। বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায় মোট ১৪টি বেড। তার মধ্যে রোগী রয়েছে মাত্র ৪ জন। এই ওয়ার্ডে মাদারীপুর থেকে আসা শামীম সরদার (১৮) ভর্তি রয়েছেন। মশার কয়েল থেকে আগুনে পুড়ে যায় তার শরীর। হাসপাতালের সেবায় শামীম সন্তুষ্ট।
হাসপাতালে কেবিন রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে সাধারণের জন্য ৮টি। সাধারণ কেবিনের ভাড়া প্রতিদিন ৩৫০ টাকা। এতে রয়েছে দুটি বেড। রোগীর জন্য একটি। সঙ্গে থাকা স্বজনের জন্য আলাদা একটি বেড। কথা হয় সাধারণ কেবিনের এক রোগী সৈয়দা মুনজেরিনা মিশকাতের স্বজনদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে তাদের রোগী হাসপাতালে রয়েছে। ডাক্তাররা সব সময় খোঁজ-খবর নেন। সার্ভিস অনেক ভাল। এ হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা দেয়া হয় এটা শুনেছেন তার আত্মীয়ের মাধ্যমে। এছাড়া ভিআইপি কেবিনে সাধারণ কেবিনের সব সুবিধার পাশাপাশি ৩টি বেড ও এসি রয়েছে। এ কেবিনের ভাড়া প্রতিদিন ৭৫০ টাকা।
এছাড়া জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ৪ জন একনগাড়ে কাজ করে চলছেন। কেউ নতুন রোগীদের এন্ট্রি করছেন। কেউ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত। অনেককে বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠানোর জন্য।
জরুরি বিভাগের নার্সদের প্রধান অনিমা রানী ঘোষ বলেন, এখানে সকল ধরনের রোগী আসে। তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। বেশি সংকটাপন্ন হলে কনসালটেন্টদের ডাকা হয়। তারা যেটা করতে বলেন সেটাই করি। এছাড়া বাকিদের সমস্যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
এছাড়া হাসপাতালের ভেতরে দুটি ক্যাফেটেরিয়া ও বাইরে একটি ফার্মেসি রয়েছে। সবই হাসপাতাল নিয়ন্ত্রিত। তবে ইজারা দেয়া। ক্যাফেটেরিয়ায় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রিত। একই সঙ্গে ফার্মেসিতে ওষুধের দামে ৭ শতাংশ ছাড় রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান বলেন, নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, সাইকেট্রি, ন্যাকোলজি, ব্লাড ব্যাংক ও ন্যাফ্রোলজি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাই এখানে দেয়া হয়। হাসপাতালে ৫০০ বেডের ক্যাপাসিটি থাকলেও বাজেটের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে লোকবলের সংকট রয়েছে। এখন আমরা বাইরের মানুষকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে চালাচ্ছি। যে কারণে এখন ৩০০ বেড চালু আছে। হাসপাতালের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এটা যুক্ত হলে ৫০০ বেড চালু করা হবে।
তিনি বলেন, টঙ্গী থেকে ঢাকা মেডিকেলের মধ্যে এ হাসপাতাল ছাড়া আর কোন সরকারি হাসপাতাল নেই। এখানে রোগীদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। সরাসরি রিকশা বা বাসে আসা যায় না। রাস্তায় গাড়ি চলে অনেক দ্রুত। এখানে একটা ফ্লাইওভার অথবা ওভার ব্রিজ থাকলে রোগীদের জন্য অনেক ভাল হতো। এছাড়া কমিউটার বাস থাকলে ভাল হতো। এমনটা হলে উত্তরা বা আরও দূরের রোগীরা সহজেই আসতে পারতো। এসব সুযোগ-সুবিধা থাকলে ঢাকার মধ্যে একটি বিকল্প হাসপাতাল হিসেবে এটাকে উপহার দিতে পারতাম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সেবার আরেক নাম কুর্মিটোলা হাসপাতাল

আপডেট টাইম : ১২:০০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৫

‘আশ্চর্য ব্যাপার হলো এখানে ভর্তি হওয়ার পর কোন ওষুধ কিনতে হয়নি। সব ওষুধই দেয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে। ভাবতে কষ্ট হচ্ছিল, এখনও বাংলাদেশে এমন হাসপাতাল আছে?’ শরীয়তপুরের মাহফুজা বেগম তার মা ৭৫ বছর বয়সের হাসিনা বেগমকে নিয়ে এ হাসপাতালে এসেছেন। মাহফুজা প্রথমে তার মাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে সিট না থাকায় বিএসএমএমইউতে পাঠান ডাক্তাররা। সেখানেও সিট না থাকায় কর্তৃপক্ষ রেফার করেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এখানে পাঠানোয় মাহফুজার মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এখন মাহফুজা হাসপাতালের সেবা পেয়ে মহাখুশি। বলেন, এখানে না এলে বুঝতেই পারতাম না এমন হাসপাতালও দেশে রয়েছে। এখানে সিট তো পেয়েছেনই, পাশের অনেক সিটও খালি।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে এসেছেন সিদ্দিকুর রহমান (৭৫)। সঙ্গে তার ছেলে। তিনি বলেন, আমাদের এক আত্মীয় এ হাসপাতালে চাকরি করেন। তার কাছে জেনেছি এখানে ভাল সেবা দেয়া হয়। তাই বাবাকে নিয়ে এসেছি। এখানে ডাক্তার, নার্স সবাই হাসিমুখে রোগীদের বরণ করে নেয়।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার রয়েছেন ১০৬ জন। এর মধ্যে ২৭ জন কনসালট্যান্ট। কর্মচারী ৯৬৬ জন। এখানে প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগী আসে দুই থেকে আড়াই হাজার। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের চেয়ে এখানে সুযোগ সুবিধা বেশি। খরচও একেবারে নামে মাত্র। চিকিৎসা নিতে এসেছেন সুনামগঞ্জের মো. আবুল হোসেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদিতে থাকেন। পেশায় মাইক্রোবাস চালক। তিনি বলেন, এখানে ভর্তি হতে দুটি টিকিট কাটতে হয়। প্রথমে ১০ টাকার টিকিট কেটে ইমার্জেন্সি বিভাগে গেলে সেখানে ১৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়। এছাড়া আর কোন খরচ নেই। যদি কোন পরীক্ষা দেয় তখন কিছু খরচ হয়। এখানে প্রায় সব পরীক্ষা করানো হয়। এজন্য খরচ অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম।
সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর অভাবে অনেক বেড খালি পড়ে আছে। বেশির ভাগ মানুষ এই হাসপাতাল ও সেবা সম্পর্কে জানেন না। যে কারণে এখানে চিকিৎসা নিতেও আসেন না।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার (এসি) সাদ্দাম হোসেন মানবজমিনকে বলেন, মোট ওয়ার্ড রয়েছে ৭টি। তার মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ড দুটি। বাকিগুলো মহিলা, শিশু, সার্জারি ও বার্ন ইউনিট। এসব ওয়ার্ডে থাকতে কোন টাকা লাগে না। ভর্তি হলেই থাকা যায়। এছাড়া হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের মধ্যে স্টাফ ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত সিট রয়েছে। নারী-পুরুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রাতে পুরুষ ওয়ার্ডে কোন মহিলা থাকা নিষেধ। একইভাবে নারী ওয়ার্ডে কোন পুরুষ থাকাও নিষেধ। ওয়ার্ডগুলো ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি ওয়ার্ডের যে সংরক্ষিত বেড রয়েছে তাতে রোগী রয়েছে। বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায় মোট ১৪টি বেড। তার মধ্যে রোগী রয়েছে মাত্র ৪ জন। এই ওয়ার্ডে মাদারীপুর থেকে আসা শামীম সরদার (১৮) ভর্তি রয়েছেন। মশার কয়েল থেকে আগুনে পুড়ে যায় তার শরীর। হাসপাতালের সেবায় শামীম সন্তুষ্ট।
হাসপাতালে কেবিন রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে সাধারণের জন্য ৮টি। সাধারণ কেবিনের ভাড়া প্রতিদিন ৩৫০ টাকা। এতে রয়েছে দুটি বেড। রোগীর জন্য একটি। সঙ্গে থাকা স্বজনের জন্য আলাদা একটি বেড। কথা হয় সাধারণ কেবিনের এক রোগী সৈয়দা মুনজেরিনা মিশকাতের স্বজনদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ধরে তাদের রোগী হাসপাতালে রয়েছে। ডাক্তাররা সব সময় খোঁজ-খবর নেন। সার্ভিস অনেক ভাল। এ হাসপাতালে ভাল চিকিৎসা দেয়া হয় এটা শুনেছেন তার আত্মীয়ের মাধ্যমে। এছাড়া ভিআইপি কেবিনে সাধারণ কেবিনের সব সুবিধার পাশাপাশি ৩টি বেড ও এসি রয়েছে। এ কেবিনের ভাড়া প্রতিদিন ৭৫০ টাকা।
এছাড়া জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, ৪ জন একনগাড়ে কাজ করে চলছেন। কেউ নতুন রোগীদের এন্ট্রি করছেন। কেউ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত। অনেককে বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠানোর জন্য।
জরুরি বিভাগের নার্সদের প্রধান অনিমা রানী ঘোষ বলেন, এখানে সকল ধরনের রোগী আসে। তাদের মধ্যে যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। বেশি সংকটাপন্ন হলে কনসালটেন্টদের ডাকা হয়। তারা যেটা করতে বলেন সেটাই করি। এছাড়া বাকিদের সমস্যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
এছাড়া হাসপাতালের ভেতরে দুটি ক্যাফেটেরিয়া ও বাইরে একটি ফার্মেসি রয়েছে। সবই হাসপাতাল নিয়ন্ত্রিত। তবে ইজারা দেয়া। ক্যাফেটেরিয়ায় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রিত। একই সঙ্গে ফার্মেসিতে ওষুধের দামে ৭ শতাংশ ছাড় রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান বলেন, নিউরো সার্জারি, নিউরো মেডিসিন, সাইকেট্রি, ন্যাকোলজি, ব্লাড ব্যাংক ও ন্যাফ্রোলজি বিভাগ ছাড়া সব চিকিৎসাই এখানে দেয়া হয়। হাসপাতালে ৫০০ বেডের ক্যাপাসিটি থাকলেও বাজেটের সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে লোকবলের সংকট রয়েছে। এখন আমরা বাইরের মানুষকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে চালাচ্ছি। যে কারণে এখন ৩০০ বেড চালু আছে। হাসপাতালের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এটা যুক্ত হলে ৫০০ বেড চালু করা হবে।
তিনি বলেন, টঙ্গী থেকে ঢাকা মেডিকেলের মধ্যে এ হাসপাতাল ছাড়া আর কোন সরকারি হাসপাতাল নেই। এখানে রোগীদের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। সরাসরি রিকশা বা বাসে আসা যায় না। রাস্তায় গাড়ি চলে অনেক দ্রুত। এখানে একটা ফ্লাইওভার অথবা ওভার ব্রিজ থাকলে রোগীদের জন্য অনেক ভাল হতো। এছাড়া কমিউটার বাস থাকলে ভাল হতো। এমনটা হলে উত্তরা বা আরও দূরের রোগীরা সহজেই আসতে পারতো। এসব সুযোগ-সুবিধা থাকলে ঢাকার মধ্যে একটি বিকল্প হাসপাতাল হিসেবে এটাকে উপহার দিতে পারতাম।