ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকের মুখে হাসি সোনালি ফসল ঘরে উঠছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
  • ৩৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত মৌসুমে চাষাবাদের খরচের তুলনায় ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এরপর এলো বন্যার ধকল। এসবের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আগাম জাতের আমন ধান মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই এই ধান কাটার মহা উৎসব শুরু হয়েছে দিনাজপুরের ফসলি মাঠে।

 বর্তমানে ধানের মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় মুখ ভরা হাসি নিয়ে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। সোনালী ফসল ঘরে তুলছে আর তা দিয়ে গোলা ভরছে তারা।

অপরদিকে দীর্ঘদিন কর্মহীন ছিল যে কৃষিশ্রমিকেরা, তাদেরও বড়ো খোশ মেজাজ। তাদেরও আয় রোজগারের পথ খুলে দিয়েছে মাঠভরা সোনালি ধান।

সারাদেশে ধানের জেলা ও খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার ফসলি মাঠের আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ধানের বাড়তি দাম কৃষককে করে তুলেছে আশাবাদী।

দিনাজপুর জেলা কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩ উপজেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আমন চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৭৩১ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের আমন চাষের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ১৬৭ ও উফশী জাতের হয়েছে ৫ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের আমন চাষে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন চাল। যার মধ্যে হাইব্রিড জাতের হেক্টরপ্রতি ৩ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন ও উফশী জাতের ২ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন চাল।

চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলার মোট ৯২৪ হেক্টরের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১৯০ হেক্টর জমিতে ও উফশী জাতের ৭৩৪ হেক্টর, সদর উপজেলার ৩৯১ হেক্টর জমির মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১৯০ হেক্টর ও উফশী জাতের

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কৃষকের মুখে হাসি সোনালি ফসল ঘরে উঠছে

আপডেট টাইম : ০১:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত মৌসুমে চাষাবাদের খরচের তুলনায় ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এরপর এলো বন্যার ধকল। এসবের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আগাম জাতের আমন ধান মুশকিল আসান হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই এই ধান কাটার মহা উৎসব শুরু হয়েছে দিনাজপুরের ফসলি মাঠে।

 বর্তমানে ধানের মূল্য বেশি থাকায় লাভবান হওয়ার আশায় মুখ ভরা হাসি নিয়ে আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত কৃষকেরা। সোনালী ফসল ঘরে তুলছে আর তা দিয়ে গোলা ভরছে তারা।

অপরদিকে দীর্ঘদিন কর্মহীন ছিল যে কৃষিশ্রমিকেরা, তাদেরও বড়ো খোশ মেজাজ। তাদেরও আয় রোজগারের পথ খুলে দিয়েছে মাঠভরা সোনালি ধান।

সারাদেশে ধানের জেলা ও খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার ফসলি মাঠের আগাম জাতের আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ধানের বাড়তি দাম কৃষককে করে তুলেছে আশাবাদী।

দিনাজপুর জেলা কৃষিবিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১৩ উপজেলার ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭১০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আমন চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৭৩১ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের আমন চাষের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ১৬৭ ও উফশী জাতের হয়েছে ৫ হাজার ৫৬৪ হেক্টর জমিতে। আগাম জাতের আমন চাষে এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন চাল। যার মধ্যে হাইব্রিড জাতের হেক্টরপ্রতি ৩ দশমিক ৬৫ মেট্রিক টন ও উফশী জাতের ২ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন চাল।

চলতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে চিরিরবন্দর উপজেলার মোট ৯২৪ হেক্টরের মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১৯০ হেক্টর জমিতে ও উফশী জাতের ৭৩৪ হেক্টর, সদর উপজেলার ৩৯১ হেক্টর জমির মধ্যে হাইব্রিড জাতের ১৯০ হেক্টর ও উফশী জাতের